অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওরকম রাখ ঢাক না রেখে তিনি বলেছেন ভারতীয় অর্থনীতির খুব খারাপ অবস্থা সরকার তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া সব তথ্যকেই ভূয়ো বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর তাঁর সামনে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরলেন 

অর্থনীতিতে নোবেল জয়ের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই স্বাভাবিকভাবে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতীয় অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। আর তিনি কোনওরকম রাখ ঢাক না রেখেই বলে দিয়েছেন ভারতীয় অর্থনীতির খুব খারাপ অবস্থা। ভবিষ্যতে কোথায় যাবে বলা যাচ্ছে না, কিন্তু এই মুহূর্তে অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে খুশি করতে দেখানো হচ্ছে তারা একটা আর্থিক লক্ষ্য সামনে রেখে এগোচ্ছে। এরপরই ভারতীয় অর্থনীতির 'বাস্তব চিত্র'টা তাঁর সামনে তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর।

ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে বলতে দগিয়ে অভিজিৎ তুলে ধরেছেন ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের তথ্য। তিনি জানান ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮-এর মধ্যে শহুরে ও গ্রামীন ভারতে মানুষের ব্যয়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। যা বহু বহু বছর পর প্রথম দেখা গিয়েছে। এটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি বলে দাবি করেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকারে পক্ষ থেকে যা তাদের পক্ষে নেই সেই সব পরিসংখ্যানকেই ভূয়ো বলে চালানো হচ্ছে। তবে তারপরেও এই মুহূর্তে অবস্থা যে ভালো নয় তা সরকার মানতে বাধ্য হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কাজেই সঠিক তথ্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ভারতীয় অর্থনীতিতে যে অতি দ্রুত মন্দা নেমে আসছে তা একেবারে স্পষ্ট। তাঁর মতে এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ভারতে চাহিদা তথা ক্রয় ক্ষমতা ক্রমে কমতে থাকা।

Scroll to load tweet…

অভিজিতের এই বক্তব্যের একদিনের মধ্যেই তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে ভারতের গরিবির বাস্তবচিত্রটা দেখিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। মঙ্গলবার কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে এক সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, গত ৭০ বছর ধরে ভারতে একটি পরিবারই গরিবিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়েছে। তিনি আরও বলেন ভারত থেকে দুইজন অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরস্কার পেলেও ভারতে দরিদ্রদের অবস্থা কোনও উন্নতি হয়নি। তারা আরও দুর্বল হয়েছে। ২০১৪ সালে মরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভারতের দরীদ্ররা পরিবর্তনটা টের পেতে শুরু করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।