সংক্ষিপ্ত

চিনা পণ্য ব্যবহার বন্ধের দাবি তুলছে ভূভারতের মানুষ

বুধবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিনা পণ্য ভাঙচুরও করা হয়েছে

এবার কি মোদী সরকার চিনা রেস্তোরাঁগুলিও বন্ধ করে দেবে

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়াল অন্তত সেইরকমই দাবি তুললেন

 

চিন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গত সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে হিংসাত্মক সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারানোর পর সারা ভারতের এমনই মত। বুধবার দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই চিনা পণ্য ভাঙচুর করে দেশবাসী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার সেই রাস্তাতে হেঁটে এক অদ্ভূত দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়াল। তাঁর মতে মেড ইন চায়না পন্য ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি ভারতে চিনা খাবার বিক্রি করে এমন সব রেস্তোঁরা ও হোটেল বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

এদিন একটি টুইট করে তিনি বলেন, 'চিন এমন একটি দেশ যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে। ভারতের উচিত চিনের তৈরি সমস্ত পণ্য বর্জন করা। চাইনিজ খাবার এবং ভারতে চিনা খাবার বিক্রি করা সমস্ত রেস্তোঁরা ও হোটেলও বন্ধ করে দেওয়া উচিত'।

চিনকে জবাব ভারত দুইভাবে দিতে পারে। প্রথমত সামরিক পথে, অর্থাৎ পাল্টা সামরিক অভিযানে। আর দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক দিক থেকে। ভারতের সঙ্গে চিনের যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করে। সেই দিক থেকে চিনা পণ্য ব্যবহার বন্ধ করা, গৌণ হলেও একটা কার্যকরী রাস্তা। কিন্তু, 'মেইন ল্যান্ড চায়না', চাউম্যান, বা চায়না টাউনের যে সব রেস্তোরাঁগুলি রয়েছে কলকাতায় বা ভারতের অন্যত্রও যে চিনা খাবারের রেস্তোরাঁগুলি রয়েছে, তাদের সবকটির মালিকই ভারতীয়। চিনের সঙ্গে খাদ্যের রেসিপি ছাড়া আর কোনও যোগ তাদের নেই। কাজেই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে ঠিক কীভাব চিনকে জবাব দেওয়া যাবে তা অনেকেরই বোধগম্য হয়নি।


 
তবে, এদিনই রেলমন্ত্রক এক চিনা সংস্থাকে বরাত দেওয়া প্রকল্প বাতিল করেছে। কানপুর-দিন দয়াল উপাধ্যায় শাখার লাইনে সিগনাল ও টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার কাজের বরাত পেয়েছিল বেজিং-এর এক সংস্থা। ৪৭১ কোটি টাকার এই চুক্তি এদিন বাতিল করে দিয়েছে মন্ত্রক। একই রকমভাবে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকেও টেলিকমের ক্ষেত্রে চিনা নির্ভরশিলতা কমানোর পথে হাঁটছে ।