সংক্ষিপ্ত
কোভিডের কারণে রবিবার লকডাউন ছিল গোটা বাজারে। ফলে দোকানবাজার সব বন্ধ ছিল। ফলে বড়সড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় শিলংয়ের ব্যস্ত পুলিশ বাজারে (Shillong's Police Bazar)একটি বোমা বিস্ফোরণ (Bomb blast) আতঙ্ক ছড়াল শিলংয়ে (Shillong)। মেঘালয়ের রাজধানীর (Meghalayan capital) বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভয়। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ বাজার শিলং এর ব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক ভবন। দিল্লি মিস্তান ভান্ডারের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে।
বিস্ফোরণের পর, বম্ব স্কোয়াড বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছয়। বর্তমানে এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে বম স্কোয়াড। সৌভাগ্যক্রমে, কোভিডের কারণে রবিবার লকডাউন ছিল গোটা বাজারে। ফলে দোকানবাজার সব বন্ধ ছিল। ফলে বড়সড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। দোকান খোলা থাকলে ও সপ্তাহের অন্য দিন হলে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ বাজারে প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। তবে কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা এখনও পুলিশ জানাতে পারেনি। পাশাপাশি, পুলিশ এখনও বিস্ফোরণের বিস্তারিত জানাতে পারেনি।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা টুইট করে বিস্ফোরণের নিন্দা করেছেন, "শান্তি বিঘ্নিত করার এবং ক্ষতি করার চেষ্টা একটি কাপুরুষোচিত কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা রাজ্যে শান্তি বজায় রাখব।"
অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত সমস্যার মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুটি রাজ্য সম্প্রতি ১২টি ভাগ করা এলাকার মধ্যে ছয়টিতে কয়েক দশকের সীমানা বিরোধের সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য দুই প্রতিবেশী রাজ্যের সরকারের মধ্যে গুয়াহাটিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং উভয় রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শনিবার অসমের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূশ হাজারিকা বলেন যে আন্তঃরাজ্য সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংসদে নেওয়া হবে।