সংক্ষিপ্ত

ভারতে বিয়ের পর মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ নতুন নয়। তবে সব ক্ষেত্রে এই অভিযোগ প্রমাণিত হয় না। অনেক সময় মিথ্যা অভিযোগও করা হয়।

রান্না খারাপ হয়েছে বলে খোঁচা দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হত না। একা মন্দিরে যেতে বাধা দেওয়া হত। টিভি দেখতে দেওয়া হত না। কার্পেটে শুতে বাধ্য করা হত। একা আবর্জনা ফেলতে যেতে দেওয়া হত না। মাঝরাতে জল ভরে আনতে বলা হত। এই পরিস্থিতিতে আত্মহত্যা করেন এই মহিলা। ২০০৪ সালের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত হন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০ বছরেরও বেশি সময় পর এই পরিবারকে রেহাই দিল বম্বে হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ ধারা এবং ৩০৬ ধারায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। নিষ্ঠুরতার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা গুরুতর বলে গণ্য করা যায় না। কারণ, এগুলি ওই পরিবারের সদস্যদের নিজেদের ব্যাপার। আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলির ভিত্তিতে এই ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা যাবে না। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আপেক্ষিক। সব ঘটনাকে একইভাবে বিচার করা যায় না।’

হাইকোর্টে বাতিল নিম্ন আদালতের রায়

এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওয়াগওয়াসে বলেছেন, ‘কার্পেটে শুতে দেওয়ার ঘটনাকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঠিক কী ধরনের কথা বলে উপহাস করতেন, সেটা স্পষ্ট নয়। একইভাবে সংশ্লিষ্ট গৃহবধূকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিশতে বাধা দেওয়ার ঘটনাকেও অত্যাচার বা হেনস্থা বলা যায় না।’

জল আনা নিয়ে অভিযোগ মিথ্যা

বিচারপতি ওয়াগওয়াসে আরও বলেছেন, ‘যে গ্রামে সংশ্লিষ্ট মহিলা ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা থাকতেন, সেখানে মধ্যরাতের পর জল আসে। এই পরিবার রাত দেড়টায় কল থেকে জল ভরত। এই কারণেই গৃহবধূকেও জল ভরতে বলা হত। ফলে এই ঘটনাকে অত্যাচার বলা যাবে না।’

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

নিয়মিত মদ্যপান করে স্ত্রীর উপর অত্যাচার, কুপিয়ে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা

'কোনও সভ্য সমাজে এভাবে মেয়েদের উপর নৃশংস অত্যাচার হয় না,' আর জি কর নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি

তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে অস্থির সোনারপুর! মহিলাদের শিকল বেঁধে অত্যাচার করত এই নেতা? ফাঁস হল ভয়ঙ্কর তথ্য