সংক্ষিপ্ত

ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি শুভেচ্ছা বিনিময়ও করছেন প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের জন্য বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। রামাফোসাকে সেই উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বিশেষ উপহার হল তেলঙ্গানার বিদার অঞ্চলের বিখ্যাত শিল্প সামগ্রী। পারস্যের ৫০০ বছরের পুরনো এই শিল্পকলাকে নতুন রূপ দিয়েছেন বিদারের শিল্পীরা। তাঁদের তৈরি ফুলের তোড়া অত্যন্ত সুন্দর। দস্তা, তামা ও অন্যান্য ধাতু ব্যবহার করে ফুলের তোড়া তৈরি করেন শিল্পীরা। বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে থাকে রুপোও। ফলে এই শিল্প সামগ্রীর সৌন্দর্য বেড়ে যায়। বিদার দুর্গ অঞ্চলের মাটিতে অক্সিডাইজিং পদার্থ আছে। ফলে বিদারের শিল্পকলা একেবারেই আলাদা। শতাব্দী প্রাচীন শিল্পকলা হল রুপোর নাকাশি। প্রথমে কাগজে নকশা আঁকার পর রুপোর পাতে নকশা করা হয়। হাতুড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে সেই রুপোর পাতকে বিশেষ আকার দেওয়া হয়। এরপর তাতে মেশানো হয় অন্যান্য ধাতু। তেলঙ্গানারা পাশাপাশি কর্ণাটক-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই শিল্পকলা দেখা যায়। শিল্পীদের কঠোর পরিশ্রম ও দক্ষতা প্রয়োজন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ফার্স্ট লেডি শেপো মোৎসেপেকে নাগাল্যান্ডে তৈরি শাল উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নাগা শাল তৈরি হচ্ছে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। নাগাল্যান্ডের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই শাল তৈরি করেন। উজ্জ্বল রং ও চোখধাঁধানো নকশা এই শালের বৈশিষ্ট। আধুনিক মেশিনের বদলে চিরাচরিত প্রথা মেনেই এই শাল বোনা হয়। কয়েক প্রজন্ম ধরে এই শিল্পকলা চলে আসছে। নাগা শিল্পীরা সুতি বস্ত্র, তন্তু ও পশম ব্যবহার করে শাল বোনেন। নাগা শালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এর নকশায় জ্যামিতি ও বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করা হয়। নাগা উপজাতির প্রচলিত গল্পকথা, কিংবদন্তি ও বিশ্বাস অনুসারেই নকশা করা হয়। প্রতিটি নকশারই আলাদা অর্থ ও গুরুত্ব আছে। প্রতিটি নাগা শালেই একটি কাহিনি থাকে। নাগা উপজাতির ইতিহাস, বিশ্বাস, জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয় শালে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইন্যাকিও লুলা ডা সিলভাকে মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত 'গোন্দ পেইন্টিং' উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 'গোন্দ' শব্দটি এসেছে দ্রাবিড় শব্দ 'কোন্দ' থেকে। এর অর্থ হল সবুজ পাহাড়। 'গোন্দ পেইন্টিং' তৈরি করা হয় পরপর দাগ টেনে ও বিন্দু দিয়ে। গোন্দ উপজাতির ব্যক্তিদের বাড়ির দেওয়াল ও মেঝেতে এই আঁকা দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় রং, কাঠকয়লা, মাটি, গাছের চারা, পাতা, গোবর, চুনাপাথর গুঁড়ো ব্যবহার করেন গোন্দ শিল্পীরা।

আরও পড়ুন-

বহরে বাড়ছে ব্রিকস-এই ৬টি নতুন দেশ অন্তর্ভুক্ত হবে; স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী

প্রকৃতির রোষানলে হিমাচল প্রদেশের কুলু! ভয়ঙ্কর ধস, ভেঙে পড়ল বিল্ডিং! দেখুন ভিডিও

চন্দ্রযান-৩: ভারতের সাফল্য সারা বিশ্বের মিডিয়ায় প্রশংসিত, তবু ঈর্ষায় জ্বলছে পাকিস্তান