সংক্ষিপ্ত
- রাজধানীতে একসঙ্গে আত্মহত্যা ১১ জনের
- একই পরিবারের ১১ সদস্য আত্মহত্যা করেন
- কেউ রাজি হচ্ছিল না বাড়িটিতে থাকতে
- সেখানেই এবার থাকতে আসছেন এক চিকিৎসক
গত বছর পয়লা জুলাইয়ের একটি খবর হতবাক করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছিলেন একই পরিবারের ১১ জন। সেই বাড়িতেই এবার থাকতে আসছেন প্যাথলজিস্ট মোহন কাশ্যপ। ৩০ ডিসেম্বর থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বুরারি এলাকায় এই বাড়িতেই স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকবেন বছর ৪৫-এর চিকিৎসক মোহন।
সুপারস্টেশন এবং ভূতে তিনি একেবারেই বিশ্বাস করেন না। স্পষ্ট জানাচ্ছেন চিকিৎসক কাশ্যপ। বাজেটের মধ্যে তিনতলা বাড়িটি পেয়ে যাওয়ায় আর দেরি করতে চাননি তিনি। ভজনপুরা থেকে তাই বুরারির নতুন আস্তানায় আসার ব্যাপারে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
আরও পড়ুন: এক সঙ্গে ৫টি সদ্যোজাতকে জীবন দিলেন 'সুপারমম' শিক্ষিকা, দান করলেন নিজের বুকের দুধ
কিন্তু চন্ডাওয়াত পরিবারের এই বাড়িতে প্রথমে কেউই আসতে রাজি ছিলেন না। গতবছর এই বাড়িতেই একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছিলেন একই পরিবারের ১১ জন সদস্য। বৃদ্ধা ঠাকুমা থেকে বছর পনেরোর কিশোর নাতি সবাই বেছে নিয়েছিলেন চরম পরিণকে। বাড়ি থেকে পাওয়া ডায়েরি থেকে জানা যায় মোক্ষ লাভ করতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল পরিবারটি। এই খবর ঘিরে সেইসময় সরগরম ছিল রাজধানী সহ গোটা দেশ।
চন্ডাওয়াত পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর পর বাড়ির মালিকানা পেয়েছেন এক আত্মীয় দীনেশ সিং। চিতরগড়ের বাসিন্দা দীনেশ সেই ভয়ানক স্মৃতি মুছে ফেলতেই বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও বহু বিজ্ঞাপন দিয়েও সঠিক দাম পাচ্ছিলেন না দীনেশ। শেষ পর্যন্ত ভাড়া দেওয়ার কথা ভাবেন তিনি। কিন্তু বাড়িটি নিয়ে আশেপাশের বাসিন্দারা নানা কথা বলতে শুরু করায় ভাড়াও আসছিলেন না কেউ।
আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে রাজধানীও, ১৯০১ সালের পর শীতলতম ডিসেম্বর দিল্লিতে
তবে ডক্টর মোহন কাশ্যপ এই বাড়িতে থাকতে আসার আগেও একটি পরিবার এসেছিল। কিন্তু সেই পরিবার এক সপ্তাহের বেশি টিকতে পারেনি বাড়িটিতে। এমনকি বাড়িতে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও কাজ করতে রাজি হচ্ছিল না।
গত নভেম্বরে বাড়িটি দেখতে আসেন মোহন কাশ্যপ। মাসিক ২৫ হাজার ভাড়াতে দুই তরফের রফা হয়। এখন এই বাড়িতে ডাক্তারবাবু ও তার পরিবারের কেমন দিন কাটে সেই দিকেই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন বুরারির বাসিন্দারা।