নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত রাজধানী সীলামপুর-জাফরাবাদ এলাকায় ছড়ালো তীব্র হিংসা জনতার তাড়ায় পালাতে হল পুলিশ-কে এর পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠছে 

নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে ফের আগুন জ্বলল রাজধানীতে। সীলামপুর-জাফরাবাদ এলাকায় ছড়ালো তীব্র হিংসা। পুলিশ ব্যারিকেড গড়লেও আন্দোলনকারীদের তুলনায় তাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় তারা। শক্ত হাতে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। পুলিশকেই তাড়া করে জনতা।

Scroll to load tweet…

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে আগে থেকেই সীলামপুর-জাফরাবাদ এলাকায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল। সেই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে একঘন্টা মতো শান্তিপূর্ণই ছিল আন্দোলন। কিন্তু, এক ঘন্টা পর থেকেই তা হিংসাত্মক রূপ নেয়। পুলিশের দাবি উত্তেজিত জনতাকে পিছু হঠাতে গেলেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

এরপর পুলিশ আরও এক কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ আনে। কিন্তু, সীলামপুর এলাকায় গলিগুলি অত্যন্ত সরু। এবং এলাকা সম্পর্কে পুলিশের কোনও সম্যক দারণা না থাকায় অতিরিক্ত বাহিনী এনেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। একটা সময় পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে তাই দিয়েই পুলিশকে আক্রমণ করতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। এরসঙ্গে ছিল নাগাড়ে পাথর ছোড়া। সব মিলিয়ে জমতার তাড়ায় পুলিশ দৌড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

Scroll to load tweet…

সীলামপুরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে 'গো ব্যাক' স্লোগান তোলে। পুলিশ ও গণমাধ্যমকে ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটতে বলা হয়। সূত্রের খবর আগে থেকেই ওই এলাকায় ইট, পাথর জমা করা ছিল। পুলিশের কাছে সেই সম্পর্কে আগাম খবর ছিল না। বিপাকে পড়ে পুলিশ প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করে তাদের ফিরে যেতে অনুরোধ করে, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন।

Scroll to load tweet…
একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি পুলিশ পোস্টে আগুন ধরানো হয়েছে।

সন্ধ্যার দিকে শান্তি ফিরলেও গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইঁট-পাথর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, সীলামপুর এলাকায় ঝামেলা বাধানো হবে বলে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এলাকায় এখন ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। 

Scroll to load tweet…