সংক্ষিপ্ত

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এবারের বর্ষা অধিবেশনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে আরও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনের বিল নিয়ে দিল্লিতে হৈচৈ হতে পারে।

সংসদের আসন্ন বর্ষা অধিবেশন নিয়ে বুধবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিপিএ) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অধিবেশনের তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়। এদিকে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে বর্ষা অধিবেশন শুরু হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় কার্যক্রম শুধুমাত্র নতুন সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত তারিখ অনুযায়ী বর্ষা অধিবেশন ১৭ জুলাই বা ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে পারে।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এবারের বর্ষা অধিবেশনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে আরও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনের বিল নিয়ে দিল্লিতে হৈচৈ হতে পারে। আম আদমি পার্টির (এএপি) আহ্বায়ক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিলের বিরুদ্ধে সমর্থন চেয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। যদিও কংগ্রেস এখনও বিলের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি।

কেন্দ্রের অধ্যাদেশটি সুপ্রিম কোর্টের ১১ মে, ২০২৩ সালের রায়কে বাতিল করে যা দিল্লি সরকারকে পরিষেবার উপর বৃহত্তর আইনী এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ দেয়। উল্লেখ্য, এবারের অধিবেশনে সবথেকে বেশি বিতর্ক হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আনা অধ্যাদেশ নিয়েই। দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি এই অধ্যাদেশ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের তরফে দিল্লি সরকারের যে ক্ষমতা বন্টন করে দিয়েছে, তাতে সাফ জানানো হয়েছিল জমি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষেত্রেই দিল্লির নির্বাচিত সরকারের অধিকার থাকবে। এরমধ্যে অন্তর্গত আমলাদের নিয়োগ ও বদলিও।

কিন্তু, এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি অধ্যাদেশ আনা হয়, যেখানে দিল্লিতে আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতেই থাকবে। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এই অধ্যাদেশ পেশ করা হতে পারে। আপ এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করবে। তৃণমূল সহ একাধিক দলও আপ-কে সমর্থন করবে বলেই জানিয়েছে।

নিম্নকক্ষে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিলটি লোকসভায় সহজেই পাস হবে। রাজ্যসভায় বিল পাশ করাতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ সাতটি শূন্য আসন নিয়ে বর্তমান সংসদের সদস্য সংখ্যা ২৩৮, যা উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের সংখ্যা কমিয়ে ১২০-তে দাঁড়িয়েছে। তাই রাজ্যসভায় কিছুটা প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।

মনোনীত সদস্যদের সমর্থনে, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র উচ্চকক্ষে ১১১ জন শক্তি রয়েছে, যেখানে YSRCP, BJD, BSP, TDP এবং জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) এর মতো দলগুলি বাদ দিয়ে বিরোধীদের মোট শক্তি রয়েছে ১০৬ জন। এই পাঁচটি দলের সদস্য সংখ্যা ২১। এই দলগুলি এখনও AAP-কে তাদের সমর্থন ঘোষণা করেনি।