সংক্ষিপ্ত
জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য মঙ্গলবার রওনা হচ্ছে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল। উপগ্রহ চিত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রায় ৬০০টি বাড়ি ইতিমধ্যেই খালি করে দিয়েছে প্রশাসন।
ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ। পার্বত্য হিমালয়ের গায়ে সাজানো দেবভূমিতে সোমবার নতুন করে আরও ৬৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে তাড়াতাড়ি সেখানে বাস করা পরিবারগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে চলেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য মঙ্গলবার রওনা হচ্ছে কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই দলটি পাঠানো হচ্ছে। এর আগে গত ৫ এবং ৬ জানুয়ারি জোশীমঠের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞদের দল থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে, অতি দ্রুত জোশীমঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকা বাড়িগুলি ভেঙে ফেলতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এই কাজ শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। ইতিমধ্যেই উপগ্রহের মাধ্যমে সমগ্র এলাকার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। উপগ্রহ চিত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রায় ৬০০টি বাড়ি ইতিমধ্যেই খালি করে দিয়েছে প্রশাসন।
জোশীমঠে ক্রমাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের ৯টি দল। ৩ থেকে ৪ জন সদস্য বিশিষ্ট এই দলগুলি এলাকার প্রত্যেক বাড়িতে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। চিহ্নিত করা হচ্ছে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে। সোমবার এই ৯টি দলের সদস্যরা জোশীমঠের ৪টি পুরসভা এলাকায় নতুন করে ১০০টির বেশি বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করেছেন। অবিলম্বে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত জোশীমঠে ভূমি অবনমনের কবলে পড়েছে মোট ৬৭৮টি বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সহ ভিটেমাটি ছেড়ে সরকারি রক্ষালয়ে উঠে চলে গেছেন বহু মানুষ। আচমকা ভেঙে পড়েছে অনেক বাড়ি। জোশীমঠের মাঠ, ক্ষেত, রাস্তাতেও চওড়া হয়েছে ফাটল।
গাড়োয়াল হিমালয়ের জোশীমঠ উত্তরাখণ্ডের পর্যটকদের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এই শহরের একাধিক বাড়িতে হঠাৎ ফাটল দেখা দেয়। দিনের পর দিন ধরে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে সেই ফাটল। কোনও কোনও বাড়ি চোখের সামনে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। জোশীমঠ শহরটি মূলত ভূমিধসপ্রবণ এলাকার উপরেই তৈরি। তাই সেখানকার মাটি আলগা। তার উপর অবাধে পাহাড় কেটে নগরের সম্প্রসারণ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, জাতীয় সড়ক প্রশস্তকরণের মতো কাজে শহরের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে ধীরে ধীরে বসে যেতে শুরু করেছে গোটা শহর।
আরও পড়ুন-
বাণিজ্যিক গাড়িতে ভিএলটিডি যন্ত্র বসাতেও ‘কাটমানি খাবে’ রাজ্য সরকার: চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে চালু হচ্ছে বিশেষ ট্রেন, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিনও থাকছে বিশেষ সুবিধা
‘কোথায় কী বলতে হয় জানেন না’, জি২০ সম্মেলনে মমতার মুখে বামেদের তিরস্কার শুনে ক্ষুব্ধ বিকাশরঞ্জন