সংক্ষিপ্ত

বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞদের সামনে বাম সরকারের সমালোচনা করায় এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রুচিবোধ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে জি২০ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখলেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ৩৪ বছরের বাম জমানার পর তাঁর শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গে কত উন্নতি হয়েছে, তার খতিয়ান দেন মমতা। বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞদের সামনে বাম সরকারের সমালোচনা করায় এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রুচিবোধ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, ‘এই রাজ্যে বামপন্থীরা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তাদের জমানা শেষ হয়েছে। তারপর আমরা ক্ষমতায় এসেছি। এই নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলাম। তারপর থেকেই কাজ করে চলেছি। ক্ষমতায় এসে দেখেছিলাম অর্থনীতি থেকে শুরু করে সবেতেই স্থবিরতা রয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজ পুরোপুরি আটকে ছিল। কিন্তু আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি তারপর থেকে আমরা কাজ করে এগিয়ে চলেছি।’

মমতার এই বক্তব্যকেই কটাক্ষ করেন বাম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘যার জমানায় ১টা কম্বলের জন্য ৩টে লোক পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়, তার মুখে এসব কথা মানায় না।’

বিকাশ রঞ্জন আরও বলেন, ‘ওনার এই সৌজন্যটুকু নেই, যে ‘জি ২০’ একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ। সেখানে দাঁড়িয়ে উনি নিজের রাজ্যকেই কটু কথা বললেন। গরিব মানুষের জীবনে উনি কী অভিশাপ ডেকে এনেছেন, সেটা উনি জানেন। এখন গরিব মানুষকে একটা শাড়ির জন্য পদপিষ্ট হয়ে মরতে হয়।’

সোমবার কলকাতায় আয়োজিত জি ২০-র অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমি দীর্ঘ বাম শাসনের সঙ্গে লড়াই করেছি। বাম জমানায় উন্নয়নের পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। আমরা এসে তা পুনরুদ্ধার করি। বিপুল দেনার ওপরে দাঁড়িয়ে এই কাজ করতে হয়েছে আমাদের।’

এই বক্তব্যের পর মুখ্যমন্ত্রীর স্থানবোধ সম্পর্কে কটাক্ষ করে বাম নেতার বক্তব্য, ‘বিশ্বের কাছে তথ্য রয়েছে, বাম জমানায় ৪০ শতাংশ মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে তোলা গিয়েছিল। উনি নতুন করে কী বলবেন? একজন নিম্ন রুচির মানুষ পদাসীন হলে, কোথায় কী বলতে হয়, সেই কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে যায়।’