সংক্ষিপ্ত
বিমান পরিষেবা সাধারণের হাতের মুঠোয় আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিতা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বপ্ন।
দেশের সাধারণ মানুষ যাতে আগামী দিনে বিমান পরিষেবা পেতে পারে সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার একটি সুশ্রয়ী মূল্যের বিমান ভ্রমণ সুবিধে প্রদান করতে চায়। বুধবার তেমনই জানিয়েছেন নতুন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বলেন আগামী দিনে চপ্পল পরা একজন সাধারণ মানুষও প্লেনে চড়ে একস্থান থেকে অন্যত্র যেতে পারবেন।
মধ্যপ্রদেশের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, গত চার বছরে অসামরিক বিমান পরিষেবা সম্প্ররাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট শহরগুলিতে বিমান বন্দর খোলা হয়েছে। নতুন নতুন রুটে বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে। বড় শহরগুলির সঙ্গে ছোট শহরগুলিকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। 'আমরা সাধারণ মানুষকে একটি সাশ্রয়ী মূল্যের বিমান ভ্রমণের সুবিধে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছেন এই সুবিধেটি এমন হওয়া দরকার যাতে দেশের হাওয়াই চপ্পল পরা মানুষও বিমানে ভ্রমণ করতে পারেন।' প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন পুরণ করার পূর্ণ সুযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Afghanistan Crisis: ঘানির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে 'কোষাগার লুঠ'র অভিযোগ , কারজাই-হাক্কানি বৈঠক
আগামী দশকে আরও বেশি সধারণ মানুষকে বিমান ভ্রমণের সুবিধে দিতে পরিষেবা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে নেওয়ার মাত্র ৩৫ দিনের মাথায় জ্যোতিরাদিত্য় সিন্ধিয়া তাঁর রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জন্য ৪৪টি নতুন বিমান চালু করেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এদিন জব্বলপুর থেকে মুম্বই, পুনে, সুরাট, হায়দরাবাদ, কলকাতার বিমান উড়েছে। আগামী ২০ অগাস্ট জব্বলপুর থেকে দিল্লি ও ইন্দোরগামী বিমানপরিষেবা শুরু হবে।
দীর্ঘ ১৯ বছরের কংগ্রেসের সদস্যপদ ছেড়ে গতবছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করার পর তাঁকে অসামরিক বিমান মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি একজন বিজেপি ম্যান হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এদিন বন্যা কবলিত মধ্য প্রদেশের শেহপুরের বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণের রেশন ও কাপড় বোঝাই ৯টি ট্রাকের যাত্রার সূচনা করেন। মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জন্য জনআশীর্বাদ যাত্রারও শুরু করেছেন তিনি। মালওয়া ও নিমার হয়ে বৃহস্পতিবার মিছিল শেষ হবে ইন্দোরে।