সংক্ষিপ্ত
- মন্ত্রিসভায় পাশ হল এনপিআর
- ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হবে কাজ
- আগামী বছর সেপ্টেম্বরে কাজ শেষের লক্ষ্য
- রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ৮,৫০০ কোটি
অনেক আলোচনার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে গেল ন্যাশনাল পপুলেশবন রেজিস্ট্রার বা এনপিআর। এরজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৮,৫০০ কোটি টাকা।
জনগণনা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এনপিআর-এ নথিভুক্ত হবে দেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের যাবতীয় তথ্য। কোনও জায়গায় অন্তত ৬ মাস একটানা থাকলে তবেই সেখান বাসিন্দা হিসাবে এনপিআর-এ নথিভুক্ত হবে। ভারতের সমস্ত স্থায়ী বাসিন্দাদের এনপিআর-এ নাম নথিভুক্ত করানো বাধ্যতামূলক। বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন : কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সরকারি ভাবে সিএএ-এনআরসি নয়, রাহুলের প্রশংসা করে আবদার প্রশান্তের
কয়েকিদন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এরাজ্যে এনপিআর বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের কাজ হবে না। তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের বিরোধিতা সত্বেও এনপিআর আপডেটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানান হয়, আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকে এনপিআর-এর কাজ শুরু করবে সেনসাস কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি সাধারণ নাগরিকের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করবে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে তা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ষোড়শী ছাত্রীর বুকে অ্যাসিড, অভিযোগের তির গেল প্রিন্সিপালের দিকে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, এনপিআর-এ তথ্য নথিভুক্ত করতে কোনও নথি বা প্রমাণের প্রয়োজন হবে না। ২০১০ সালে এনপিআর তৈরির জন্য প্রথম তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইউপিএ সরকার। ২০১১ সালে সংগ্রহ করা হয় পরিবারভিত্তিক তথ্য। এবার একই সঙ্গে ব্যক্তি ও পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অনেকেই দাবি করছেন দেশজুড়ে যে নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি বলবৎ করছে চেলেছ কেন্দ্র, এনপিআর হল তার প্রাথমিক ধাপ। এই প্রক্রিয়ার সরকার নির্ধারণ করতে চায় কে নাগরিক আর কে অনুপ্রবেশকারী। সেই কারণেই এই প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।