সংক্ষিপ্ত

দীপাবলির প্রাক্কালে, সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর আবগারি শুল্ক যথাক্রমে ৫ টাকা এবং ১০টাকা কমিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

প্রতিদিন পেট্রল ডিজেলের দামে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত ভারতের। এবার সেই আগুনে কিছুটা জল ঢালার চেষ্টা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের(government of India)। যদি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তবে দাম কমবে পেট্রল ডিজেলের। জানা গিয়েছে, মোদী সরকার বুধবার পেট্রোল এবং ডিজেলের (petrol and diesel) উপর আবগারি শুল্ক(excise duty) কমানোর ঘোষণা করেছে।দীপাবলির (Diwali) প্রাক্কালে, সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর আবগারি শুল্ক যথাক্রমে ৫ টাকা এবং ১০টাকা কমিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। 

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে জিএসটি কাউন্সিল জ্বালানির দাম জিএসটি করের (GST taxation) আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করে। ফলে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম (fuel prices) কমে যেতে পারে, বলে মনে করা হয়। এবার যদি আবগারি শুল্ক কমানো হয়, তববে তা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় স্বস্তির কারণ হবে। গত কয়েক বছর ধরে জ্বালানির দামের উর্দ্ধগতিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। 

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) অর্থনীতিবিদদের মতে, জিএসটি -র আওতায় আনা হলে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ টাকা হতে পারে। একই সময়ে, জ্বালানির ওপর জিএসটি প্রযোজ্য হলে ডিজেলের দাম ৬৮ টাকা প্রতি লিটার হতে পারে। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম জিএসটি -র আওতায় আনতে কেন্দ্রের মোট ক্ষতি হবে প্রায় ১লক্ষ কোটি টাকা বা জিডিপির ০.৪%। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত পণ্যের দামের প্রেক্ষিতে এই হিসেব করা হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের হিসাব অনুসারে প্রতি ব্যারেল ক্রুড প্রাইস ৬০ ডলার ও বিনিময় হার ৭৩ ডলার প্রতি ব্যারেল। 

বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা অধীর চৌধুরির, নতুন স্থল বন্দর তৈরির প্রস্তাব

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

অর্থনীতিবিদদের মতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি অপরিশোধিত তেল পণ্যগুলিকে জিএসটি আওতায় আনার পক্ষে নয়। কারণ পেট্রোলিয়াম পণ্যের উপর বিক্রয় কর/ভ্যাট তাদের রাজস্বের একটি প্রধান উৎস। তাই অপরিশোধিত তেলপণ্যগুলিকে জিএসটির আওতায় আনতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা জিএসটি কাউন্সিলের এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নন। তাদের মতে, "রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, যা ভারতীয় তেলের পণ্যের দাম বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চে রেখেছে।"

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে সরকার দেশে শক্তির ঘাটতি যাতে না হয় এবং পেট্রোল ও ডিজেলের মতো পণ্যগুলি আমাদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পদক্ষেপ সেই লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।