সংক্ষিপ্ত

নিজের ছেলেকে খুন করে মৃতদেহ ব্যাগের ভেতরে নিয়ে গোয়া থেকে সটান চলে এলেন কর্ণাটকে! তাঁর এই কাণ্ডে হতবাক হয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।

Mindful AI Lab নামে একটি কোম্পানি শুরু করেছিলেন সূচনা শেঠ। পরিবারের সঙ্গে তিনি বাস করতেন গোয়ায়। তাঁর সংস্থা মার্কেটে যখন ভালোরকম পসার জমিয়ে ফেলেছে, তখনই তিনি ঘটিয়ে ফেললেন মারাত্মক কাণ্ড! নিজের ছেলেকে খুন করে মৃতদেহ ব্যাগের ভেতরে নিয়ে গোয়া থেকে সটান চলে এলেন কর্ণাটকে! তাঁর এই কাণ্ডে হতবাক হয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। 

-

মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও সুচনা শেঠকে সোমবার কর্ণাটকের চিত্রদুর্গে একটি ব্যাগ সহ আটক করে পুলিশ। সেই ব্যাগের মধ্যেই পাওয়া যায় তাঁর ছেলের মৃতদেহ। শিশুটির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪ বছর। উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিমের একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে তিনি নিজের ছেলেকে খুন করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারপর ব্যাগের মধ্যে দেহটি ভরে কর্ণাটকে এসেছিলেন এবং ওই ব্যাগ নিয়ে ভ্রমণও করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। 

-

শনিবার উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিমের সোল ব্যানিয়ান গ্র্যান্ড হোটেলে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন সূচনা। কিন্তু, সোমবার তাঁকে দেখা যায় একটি বড় ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে, ওই সময়ে শিশুটিকে তাঁর সঙ্গে দেখা যায়নি, তিনি একা রুম থেকে চেক আউট করেন । হোটেলের কর্মীরা জানিয়েছেন যে, কর্মীদের কাছে বেঙ্গালুরুতে একটি ট্যাক্সি বুক করে দিতে বলেছিলেন ওই মহিলা। তাঁকে বিমানে চড়ে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও, তিনি ট্যাক্সি নেওয়ার জন্য জোর দিয়েছিলেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে, তিনি বিমানবন্দরে ব্যাগ পরীক্ষা হওয়ার দ্বারা ছেলের মৃতদেহ-সমেত ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন।

-

হোটেলের কর্মীরা লক্ষ্য করেছিলেন যে, বাচ্চাটি তাঁর সঙ্গে নেই এবং তাঁর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায় যে, রক্তের দাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তখনই তাঁরা গোয়ার পুলিশকে খবর দেন। ততক্ষণে সূচনা শেঠ ট্যাক্সিতে চড়ে বেঙ্গালুরুর দিকে রওনা দিয়েছেন। পুলিশ সরাসরি ওই ট্যাক্সির চালককে ফোন করে এবং সূচনা যাতে ভাষা বুঝতে না পারেন, এজন্য চালককে কোঙ্কনি ভাষায় কথা বলতে বলে। গোয়ার পুলিশ ক্যাবটিকে বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে চিত্রদুর্গ-র কাছে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরেই সূচনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


কিন্তু, কেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নিজের ৪ বছরের ছোট্ট সন্তানকে খুন করলেন, এই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট  নয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিজের প্রাক্তন স্বামী ভেঙ্কট রমনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ এসে যাওয়ার কারণে সন্তানকে খুন করেছেন অভিযুক্ত মহিলা।