সংক্ষিপ্ত
দেশের প্রবীণতম বিলিয়নেয়র কেশব মাহিন্দ্রার জীবনাবসান। শিল্পজগতে শোকের ছায়া। ভারতের শিল্পজগতে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করছেন বহু মানুষ। সবাই প্রয়াত শিল্পপতিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
মাহিন্দ্রা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং দেশের প্রবীণতম বিলিয়নেয়র কেশব মাহিন্দ্রার জীবনাবসান। এই প্রবীণ শিল্পপতির বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। ২০১২ সালে মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর নেন কেশব। তিনি সংস্থার দায়িত্ব তুলে দেন আনন্দ মাহিন্দ্রার হাতে। ৪৮ বছর মাহিন্দ্রকা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কেশব। তিনি এই দায়িত্ব ভালোভাবেই সামলেছেন। মাহিন্দ্রা গ্রুপকে দেশের অন্যতম বৃহৎ ও সফল শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর বড় অবদান ছিল। প্রয়াত শিল্পপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান পবন গোয়েঙ্কা বলেছেন, ‘আজ শিল্পজগৎ অন্যতম বিশিষ্ট এক ব্যকিত্বকে হারাল। শ্রী কেশব মাহিন্দ্রার তুল্য ব্যক্তি আর কেউ নেই। তিন আমার দেখা সবচেয়ে ভালো মানুষ। তাঁর সঙ্গে দেখা হলে সবসময় ভালো লাগত। তিনি যেভাবে ব্যবসা করতেন, সেটা আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর ব্যবসা, সমাজ ও অর্থনীতির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানো দেখে শেখার চেষ্টা করেছি। তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করি।’
মাহিন্দ্রা গ্রুপ মূলত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা হিসেবে পরিচিত। তবে কেশবের হাত ধরে সংস্থা গাড়ি তৈরি ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি, রিয়েল এস্টেট, আর্থিক পরিষেবার মতো ক্ষেত্রেও ব্যবসা শুরু করে মাহিন্দ্রা গ্রুপ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিখ্যাত সংস্থা উইলিস কর্পোরেশন, মিৎসুবিশি, ইন্টারন্যাশনাল হারভেস্টার, ইউনাইটেড টেকনলজিস, ব্রিটিশ টেলিকম-সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ব্যবসা শুরু করে মাহিন্দ্রা গ্রুপ।
খেলাতেও উৎসাহ ছিল কেশবের। মুম্বইয়ে তাঁদের ফুটবল দল ছিল। প্রথমে সেই দলের নাম ছিল মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, পরে নাম বদল করে রাখা হয় মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। বেশ সফল হয়েছিল সেই ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব, চার্চিল ব্রাদাসের সঙ্গে টক্কর দিয়ে ফেডারেশন কাপ, জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো, ইউসুফ ইয়াকুবু, সন্দীপ নন্দীর মতো তারকারা এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।
১৯৪৭ সালে বাবার সংস্থায় যোগ দেন কেশব। তাঁদের সংস্থা সেই সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত গাড়ি তৈরি বিক্রির ব্যবসা করত। ১৯৬৩ সালে সংস্থার চেয়ারম্যান হন কেশব। ২০১২ পর্যন্ত সফলভাবে এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। উইলিস জিপস অ্যাসেম্বেল করার মাধ্যমে যে সংস্থার পথ চলা শুরু, সেই সংস্থাই পরবর্তীকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যায়। ২০০৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক প্রাইম মিনিস্টারস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন কেশব।
আরও পড়ুন-
Apple Store: ২ দিনের ব্যবধানে দেশে চালু হচ্ছে দুটি অ্যাপেল স্টোর, রইল বিস্তারিত তথ্য
UPI:মাত্র ৬ সেকেন্ডেই আর্থিক লেনদেন, রইল ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য
মাত্র ৬ টাকা করে জমিয়েই লাখ টাকার সঞ্চয়, সন্তানকে দিন এক সুরক্ষিত ভবিষ্যত