সংক্ষিপ্ত

এই সময় চাঁদের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নেমে যায়। এই তীব্র ঠান্ডায় কীভাবে প্রজ্ঞান এবং বিক্রম কাজ করবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে চন্দ্রযান-৩। প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর মহাকাশযান। অবতরণের পর টানা ১৪ দিন দিন থাকবে চাঁদে। এই ১৪ দিন চন্দ্রপৃষ্টে সূর্যের আলো থাকাকালীন বিচরণ করবে চন্দ্রযান ৩। তবে পরবর্তী ১৪ দিন টানা রাত থাকবে চন্দ্রপৃষ্টে। এই সময় চাঁদের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নেমে যায়। এই তীব্র ঠান্ডায় কীভাবে প্রজ্ঞান এবং বিক্রম কাজ করবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

১৪ দিনের রাত্রি দশায় কী করবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম?

ইসরোর তরফে জানানো হচ্ছে ১৪ দিন পর অর্থাৎ, ৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই নিষ্ক্রিয় হয় যাবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। বিক্রম এবং প্রজ্ঞান ২৮ দিন পরে আবার সক্রিয় হতে পারে যখন চাঁদ আবার দিনের আলো পাবে। তবে এবিষয় নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরাও। প্রজ্ঞান ও বিক্রম পুণরায় সক্রিয় হলে তা ইসরোর কাছে হবে উপরি পাওনা।

প্রসঙ্গত, শনিবার সাতসকালে ইসরোয় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন মোদী চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণস্থলের নাম রাখলেন 'শিবশক্তি'। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গারও নামকরণ করলেন তিনি। সেই জায়গার নামকরণ হল তেরঙ্গা। এছাড়া চন্দ্রযান-৩ এর ঐতিহাসিক সাফল্যের দিনটিকে আরও স্বরণীয় করে রাখতে ২৩ অগাস্ট 'জাতীয় মহাকাশ দিবস' ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম যেখানে চাঁদের যে জায়গাটি স্পর্শ করেছে সেটি 'শিব শক্তি পয়েন্ট' নামে পরিচিত হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বেঙ্গালুরুতে ISRO-এর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেছেন।বেঙ্গালুরুতে ISRO টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) এ প্রধানমন্ত্রী মোদির বড় ঘোষণা এসেছে যেখানে তিনি আজ ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-3 মিশনের পিছনে বিজ্ঞানীদের অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন। এদিন মোদী বলেন,'চাঁদে স্পর্শ করার স্থানটির নামকরণ করা একটি সম্মেলন। এবং ভারতও এখন বিক্রম ল্যান্ডারের যে বিন্দুটি স্পর্শ করেছে তার নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিন্দুটি এখন 'শিব শক্তি পয়েন্ট' হিসাবে পরিচিত হবে।'