সংক্ষিপ্ত

চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের পরেই টুইটারে শুভেচ্ছা জানান মোদী। তিনি লেখেন এই মুহুর্ত প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গৌরবের। এই মুহুর্তের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করে রয়েছেন ভারতীয়রা।

ইসরো জুড়ে এখন ব্যস্ততা। ব্যস্ততা ইতিহাস গড়ার, ব্যস্ততা ইতিহাসকে চোখের সামনে দেখার। শুক্রবার দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিটে মহাকাশে পাড়ি দিল দেশের বহু প্রতীক্ষিত চন্দ্রযান ৩। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বহু প্রতীক্ষিত মিশন চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণের পর বিজ্ঞানীদের একরাশ শুভেচ্ছা জানান মোদী। তিনি বলেন চন্দ্রযান ৩ ভারতের মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করল।

এদিন চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের পরেই টুইটারে শুভেচ্ছা জানান মোদী। তিনি লেখেন এই মুহুর্ত প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গৌরবের। এই মুহুর্তের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করে রয়েছেন ভারতীয়রা। বিজ্ঞানীদের নিরলস সাধনা ও পরিশ্রমের ফলেই এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। তাঁদের ঐকান্তিক চেষ্টা ও অদম্য ইচ্ছাকে আমার কুর্ণিশ।

এদিকে, এই মিশন যদি সফল হয় তাহলে ভারতের মহাকাশ গবেষণা অনেকটাই এগিয়ে যাবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে ভারত হবে চতুর্থ দেশ যাদের মহাকাশ যান চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে। চন্দ্রযান -৩এর ল্যান্ডারের নাম বিক্রম আর রোভারের নাম প্রজ্ঞান। ৪০ দিন পরে আগামী ২৩ অগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান ৩।

 

 

ইসরো জানিয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর ফোকাস চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ করা। এর আগে, ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছিলেন যে এটি মহাকাশের ক্ষেত্রে ভারতের আরেকটি বড় সাফল্য হবে। এর আগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বহু প্রতীক্ষিত মিশন চন্দ্রযান-৩ চালু করার বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করে। লঞ্চ প্রস্তুতি দল ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেট, লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-III-তে জুলাইয়ের মাঝামাঝি লঞ্চের লক্ষ্য পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।

চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান LVM3 (লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-III) মাধ্যমে সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র, শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ISRO আধিকারিকদের মতে, চন্দ্রযান-৩ হল চন্দ্রযান-২য়ের পরবর্তী প্রকল্প, যা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে এবং পরীক্ষা চালাবে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ডার ও রোভার। এটি দেখতে চন্দ্রযান-২-এর মতোই হবে, যাতে একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার থাকবে। চন্দ্রযান-৩ এর ফোকাস চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ করা।

মিশনের সাফল্যের জন্য, নতুন যন্ত্র তৈরি করা হয়, অ্যালগরিদম উন্নত করা হয় এবং যে কারণে চন্দ্রযান-২ মিশন চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সেদিকে নজর দেওয়া হয়। চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার-রোভার বিধ্বস্ত হওয়ার চার বছর পর চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ মিশন জুলাই মাসে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের অন্ধকার দিকে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ এই অংশটি পৃথিবীর সামনে আসে না।