সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তান না চিন - বড় সমস্যা কারা

জাতীয় নিরাপত্তায় কে বেশি ভরসার মোদী না রাহুল গান্ধী

ভারতীয়রা চিনা পণ্য বয়কট করতে পারবে কি

কোন জনমত উঠে এল সি-ভোটারের সমীক্ষায়

পাকিস্তান বরাবরই ভারতের শত্রু। কিন্তু, নতুন করে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চিনের সঙ্গে। এই অবস্থায় বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। চিন না পাকিস্তান কোন প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বেশি সমস্যার কারণ? চিনের সঙ্গে সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা এনডিএ সরকারের উপর আস্থা রাখা যায় কি? এই রকম কিছু প্রশ্ন নিয়েই দেশবাসীর কাছে হাজির হয়েছিল সমীক্ষা সংস্থা সি-ভোটার। দেখা যাক দেশ কি বলছে...

৬৮ শতাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন পাকিস্তানের থেকেও ভারতের জন্য বেশি উদ্বেগের কারণ চিন। বাকি মাত্র ৩২ শতাংশ এখনও পাকিস্তানকেই বড় হুমকি বলে মনে  করছেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন, ভারত সরকার চিনকে এখনও উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য কোন কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। তবে, তারপরেও প্রধানমন্ত্রী মোদীই চিন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আদর্শ ব্যক্তি বলে মনে করছেন অধিকাংশ ভারতীয়। ৭৩.৬ শতাংশ বলেছেন যে এই বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের উপরই আস্থা রয়েছে তাঁদের।

প্রথমে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা ও লকডাউন, এখন ভারত-চিন উত্তেজনা - সমানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুললেও মানুষের আস্থা অর্জনে এখনও ব্যর্থ রাহুল গান্ধী। মাত্র ১৬.৭ শতাংশ ভারতীয় চিন পরিস্থিতি সামলাতে বিরোধী দলের পক্ষে আস্থা রেখেছেন। ৯.৩ শতাংশ ভারতীয় আবার মনে করেন ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার বা বিরোধী দল - কেউই চিনের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নয়। তবে ৬১ শতাংশ মানুষ সরাসরি জানিয়েছেন শাসক হিসাবে রাহুল গান্ধীর প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে রাহুলে ভরসা রেখেছেন মাত্র ১৪.৪ শতাংশ মানুষ, যেখানে এই বিষয়ে মোদী ভোট পেয়েছেন ৭২.৬ শতাংশের।

তবে চিনা পণ্য বয়কটের বিষয়ে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন ভারতীয়রা চীনা পণ্য বর্জন করবেন। তবে ৩১ শতাংশ মানুষ এখনও মনে করেন যে ভারতীয়দের চীনা পণ্য কেনা ছাড়া গতি নেই।