সংক্ষিপ্ত

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নতুন করে ক্যাম্প গড়ে তুলছে চিন। সেনা ক্যাম্পগুলি কংক্রিটের তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রবল শীতেও সীমান্তে নজরদারি চালাতে পারে চিনা সেনা 

ফের কি ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের রাস্তায় যাওয়ার ছক কষছে চিন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কড়া বার্তার পরেই নয়া তথ্য পেল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নতুন করে ক্যাম্প গড়ে তুলছে চিন। সেনা ক্যাম্পগুলি কংক্রিটের তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রবল শীতেও সীমান্তে নজরদারি চালাতে পারে চিনা সেনা।  

সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক শীর্ষ স্থানীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানান, উত্তর সিকিমের নাকু লা এলাকা ও পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এই ক্যাম্পগুলি গড়ে উঠছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে নির্মাণ কাজ। ভারতীয় সীমানার খুব কাছেই অর্থাৎ কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই এই ক্যাম্পগুলি তৈরি করছে বেজিং বলে খবর। 

উত্তর সিকিমের নাকু লা, যেখানে গত বছরই ভারত ও চিনা সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে ক্যাম্প তৈরি করছে চিন। সূত্র জানাচ্ছে এই ক্যাম্পগুলি স্থায়ী ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রবল তুষারাপাতেও চিনা সেনা পাহারায় থাকতে পারে। ওই এলাকাতে রাস্তা তৈরি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে চিন। ফলে চিনা সেনার যাতায়াতে কোনও সমস্যা হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উত্তর সিকিম বা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অথবা পূর্ব লাদাখ সেক্টর, প্রবল শীতে সীমান্ত এলাকা থেকে সরে আসতে হয় দুই দেশের জওয়ানদেরই। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই কংক্রিটের ছাউনি তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ সেক্টর নিয়ে আরও একবার কড়া অবস্থান ব্যক্ত করে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে দুই দেশের পদক্ষেপের ওপরেই নির্ভর করছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। 

গত বছর মে মাসের প্রথম থেকেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে একাধিক স্ট্যান্ডঅফ পয়েন্টে ভারত ও চিনা সেনা বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ আনতে উভয় পক্ষ একের পর এক সামরিক ও কূটনৈতিক বৈঠকে আলোচনা করেছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। প্রথমেই প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা ও অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।