সংক্ষিপ্ত
দিল্লি মেরুত আরআরটিএস প্রকল্প নিয়ে বিপত্তি
চিনা সংস্থান নাম জড়িয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে
দরপত্রে কম মূল্য হেঁকেছিল
চিনা সংস্থাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি
টাটার মত দেশি সংস্থা পাত্তা পায়নি। হারিয়ে দিয়েছিল বিদেশি নামি দামি সংস্থাকেও। কেন্দ্রীয় সরকারের দিল্লি মেরুত আরআরটিএস প্রজেক্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল চিনের সংস্থা সাংহাই ট্যানেল ইঞ্জিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। গত বছর নভেম্বরে দরপত্র আহ্বান করেছিল এনসিআরটিসি। গত মার্চে খোলা হয় সেই দরপত্র। গত ১২ই জুন চিনা সংস্থাটিকে মনোনীত করা হচ্ছে নিউ অশোকনগর এবং সাহিদাবাদ পর্যন্ত ৫.৬ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিভাগের কাজ সম্পন্ন করার জন্য। এইটি দিল্লি মেরুত আরআরটিএস করিডরের অংশ। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত হাইস্পিড ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি তারই অংশ।
এই প্রকল্পটি রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার পরিবহন সংস্থা এনসিআরটিসি পরিচালনা করছে। পাঁচটি সংস্থা অন লাইনের মাধ্যমে দরপত্র জমা দিয়েছিল। চিনা সংস্থা সাংহাই টানেল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করতে সবথেকে কম টাকা দাবি করেছিল যার আর্থিক পরিমানণ ছিল ১,১২৬ কোটি টাকা। ১,১৭০ কোটি টাকার দরপত্র হেঁকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল লারসান অ্যান্ড ট্রুবো লিমিটেড। দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী মাটির তলা দিয়ে রাস্তা নির্মানের পাশাপাশি আন্ডার গ্রাউন্ড স্টেশনের নক্সা তৈরি ও নির্মান সব কিছুই করতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। ১০৯৫ দিনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করতে হবে বলেও জানান হয়েছে। সব শর্ত মেনেই দরপত্র দাখিল করেছিল চিনা সংস্থা। গত ১২ জুন কেন্দ্রীয় সরকারের চিনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বলে খবর।
সাংহাই টানেল ইন্জিনিয়ারিং চিনা সংস্থা। এটি সড়ক, রেলপথ তৈরিতে পারদর্শী। পাশাপাশি ভারী শিল্প উৎপাদনেও নামি সংস্থা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
কিন্তু চিনা সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়িত করার তীব্র বিরোধিতা করেছে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ। ভারত চিন সীমান্তে বেড়ে চলা উত্তাপ নিয়েও যথেষ্ট সরব এই সংস্থা। চিনা পণ্য বাতিলের দাবি তুলে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে নেমেছে এই সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অবিলম্বে চিনা সংস্থাকে বরখাস্ত করতে হবে। চিনা সংস্থার হাতে প্রকল্পের কাজ গেলে ব্যাঘাত ঘটবে আত্মনির্ভর অভিযানের। চিনা সংস্থাকে বাতিল করে দেশীয় কোনও সংস্থার হাতে কাজ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালেই চিনা অর্থনীতি ভারতীয় অর্থনীতিকে গ্রাস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনা সংকটের প্রথম দিকেই এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে শেয়ারের পরিমাণ বাড়িয়েছে চিনার সরকার অধিকৃত পিপিলস ব্যাঙ্ক। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। চিনা অগ্রাসন দূরে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলহগুলি।