সংক্ষিপ্ত
- লাদাখ সেক্টরে আরও সেনা বাড়াচ্ছে চিন
- প্রয়োজনে অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে
- আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে পর্যালোচনা রিপোর্টে
- বছর শেষের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পর্যালোচনা রিপোর্ট
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে আরও অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে চাইছে চিন। আর সেই কারণে ভারতী সেনাজওয়ার বিরুদ্ধে অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করতেও পিছপা হবে না চিনা সেনা। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আসপাশে প্রচুর পরিমাণে সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে পারে বেজিং। ২০২০ সালে শেষ দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পর্যালোচনায় তেমনি তথ্য উঠে এসেছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে ব্যবহৃত প্রচলিত ও অপ্রচলিত অস্ত্রের বিস্তারিত বিবরণ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তবে লাল ফৌজ গতবছরই প্যাংগং লেক এলাকা ও গ্যালওয়াল উপত্যকার সংঘর্ষের সময় পাথর, লোহার রড, পেরেক স্টাড ক্লাব ব্যবহার করেছিল। আর সেইজাতীয় অস্ত্রই ব্যবহার করেছিল ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে। সেগুলিকেই প্রথামিকভাবে অপ্রচলিত অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা জোর করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছে ভারতীয় জওয়ানরা। ১ জানুয়ালী প্রকাশিত পর্যালোচনা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনী ও বিমান বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত গতিতে আর্টিলারি গান, ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও বলা হয়েছে উন্নত সৈন্য মেতায়েন জন্য রাস্তা, আবাস ও সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে,সীমান্ত এলাকা চিনা সেনা একতরফা স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের উচিৎ জবাব দেওয়া হয়েছে। পিএলএ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত সীমান্ত প্রোটোকল মেনেই সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মহামারি তাঁর দেশে পা রাখতে পারেনি, কিন্তু তারপরেও কেন করোনা টিকা জন্য হাত পাতছেন ...
বেলাশেষে ট্রাম্পের ভোলবদল, রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সামনে ভারত ...
কেন্দ্রীয় সরকারের এই পর্যালোচনা রিপোর্টে স্থান পেয়েছে, গত ১৫ জুন গ্যালওয়ান সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ানের শহিদ হওয়ার কথা। একই সঙ্গে স্থান পেয়েছ অগাস্ট মাসের চিনা সেনার অগ্রাসনের কথাও। রিপোর্টে বলা হয়েছিল মধ্যরাতে কীভাবে চিনা সেনা প্যাংগং লেকের দক্ষিণপ্রান্তে অগ্রসর হয়েছিল। ভারতীয় সেনা বাহিনী সেই সময় প্যাংগং লেকের রিজ লাইনের দক্ষিণ প্রান্ত অবস্থান করেছিল। গত সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে দুই দেশের সেনা বাহিনী গত আট মাস ধরে সীমান্ত বরাবর অবস্থান করছে।