সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে অক্সিজেনের অভাবে কোনও আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি। কেন্দ্রের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা।যদিও অনেক ক্ষেত্রেই সামনে এসেছে আসল সত্যিটা।
কেন্দ্রীয় সরকারই মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে অক্সিজেনের অভাবে কোনও আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি। যদিও এই সময় গোটা দেশেই অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। করোনাভাইরাসের প্রথম তরঙ্গের থেকেও দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল বলেও জানান হয়েছে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই মন্তব্যের পরেই আসরে নেমেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যা নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি।
'মস্তিষ্কহীন যুবরাজ', এবার আর হিন্দি নয় রাহুলকে ইতালির ভাষায় তীব্র আক্রমণ বিজেপির
ইন্দিরা গান্ধীর লেখা পুরনো চিঠি কাঁপাচ্ছে নেটদুনিয়া, সুগন্ধী নিয়ে ভাইরাল চিঠি কাকে লিখেছিলেন জানুন
দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অক্সিজেনের চাহিদা প্রবল আকার নিয়েছিল দিল্লিতে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অক্সিজেনের দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়েছিল যা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল আদালতকেও। কিন্তু সেখানেও সামনে আসে প্রয়োজনের তুলনায় নাকি বেশি মাত্রায় অক্সিজেনের চেয়েছিল দিল্লি। যাই হোক কেন্দ্রীয় সরকারের এই মন্তব্যের পর আবারও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসৌদিয়া। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অক্সিজেন নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার থেকে দায় ঝেড়ে ফেলে লুকানোর চেষ্টা করছে। এটি পরিকল্পনার বিপর্যয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের সঙ্গে মৃত্যুর পরিসংখ্যনও হেরফের করা হয়েছিল বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন মহারাষ্ট্রের অবস্থা সেই সময় সবথেকে খারাপ ছিল। সঞ্জয় রাউত আরও বলেন কেন্দ্র বলছে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মানুষের মৃত্যু হয়নি। কিন্তু এই কথা শুনে সেই পরিবারগুলির অবস্থা খুবই শোচনীয় হবে যারা এই সময় স্বজনদের হারিয়ে ছিলেন।
সঞ্জয় রাউতের এই মন্তব্যের পরই আসরে নামে মুম্বই বিজেপি। মহারাষ্ট্র সরকার বোম্বে হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল অক্সিজেনের অভাবে কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। দলের পক্ষ থেকে সেই সব সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন টুইট করা হয়। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা হয়, কেন আদালতকে এজাতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
তবে সঞ্জয় রাউতের এই মন্তব্য নিয়ে নেটদুনিয়ায় যথেষ্ট তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ নেটিজেনরা সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলেছেন, স্বাস্থ্য হল রাজ্যের বিষয়। আর সেই জন্য প্রতিটি ক্ষেত্র কেন্দ্রকে জানান রাজ্যের কর্তব্য।
করোনা মহামারি চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
তবে এটা সত্যি যে বর্তমান পরিস্থিতিতেও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র প্রথম স্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আর ৪২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩০০। এই প্রদেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৬২ লক্ষেরও বেশি।