সংক্ষিপ্ত

নেপাল ১০০ টাকার নোট ছাপানোর দায়িত্ব একটি চিনা কোম্পানিকে দিয়েছে। এই নোটগুলিতে নেপালের মানচিত্রে ভারতের লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকেও দেখানো হয়েছে, যা নিয়ে নতুন করে বিবাদের সৃষ্টি হতে পারে।

নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক 'নেপাল রাষ্ট্র ব্যাঙ্ক' একটি চিনা কোম্পানিকে দেশের সংশোধিত রাজনৈতিক মানচিত্র সহ নতুন ১০০ টাকার নোট ছাপানোর চুক্তি দিয়েছে। নেপালের মন্ত্রিসভা ১০০ টাকার নোটের ডিজাইনে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে। এতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি এলাকা লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং কালাপানিকে নেপালের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রটি ১৮ জুন, ২০২০-এ নেপালি সংবিধান সংশোধন করে অনুমোদিত হয়েছিল, যেখানে লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরাকে দেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই নেপালের আঞ্চলিক দাবিকে "কৃত্রিম সম্প্রসারণ" এবং "অস্থিতিশীল" বলে অভিহিত করেছে।

ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে পশ্চিম নেপালের সীমান্তে অবস্থিত লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরা তার অংশ। ইংরেজি সংবাদপত্র 'রিপাবলিক'-এর মতে, প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর 'চায়না ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন'-কে এই চুক্তি দেওয়া হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোম্পানিকে প্রতিটি ১০০ টাকার ৩০ কোটি নোট ডিজাইন, মুদ্রণ, সরবরাহ ও বিতরণের জন্য অনুরোধ করেছে, যার আনুমানিক মুদ্রণ ব্যয় প্রায় ৮৯.৯ লাখ মার্কিন ডলার। তবে নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের মুখপাত্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আমন্ত্রণ ছাড়াই চিনে যাবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী, কী কৌশল?

শুধু তাই নয়, আমন্ত্রণ ছাড়াই চিন সফরে যাচ্ছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে 'মাই রিপাবলিকা' পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে। সরকারের নতুন মেয়াদের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী ওলির চিন সফরের প্রস্তুতির প্রস্তাব করছে বলে জানা গেছে।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি অলি চিনে অনামন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। পত্রিকাটি এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য নেপালের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।