সংক্ষিপ্ত

  • চিনা হ্যাকারদের নজরে ছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা 
  • বিদ্যুৎ সেক্টরেও নজর ছিল চিনা হ্যাকারদের 
  • মার্কিন গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে এই তথ্য 

নতুন একটি গবেষণা রিপোর্টে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য। দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে চিনের রাষ্ট্রীয় মদত পুষ্ট হ্যাকারদের টার্গেটে ছিলেন ১২টিও বেশি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থা। যারমধ্যে ছিল বিদ্যুৎ সংস্থা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। সূত্রের খবর চিনা হ্যাকাররা ভারতের বিহত্তম বিদ্যুৎ সংস্থা এনটিপিসি লিমিটেডের পাঁচটি মূল আঞ্চলিত কেন্দ্রগুলিকে টার্গেট করেছিল। এই কেন্দ্রগুলি থেকেই প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পরিচালনায় এই কেন্দ্রগুলি মুখ্যভূমিকা গ্রহণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাইবার সংস্থা এই তথ্য ফাঁস করেছে। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে চিনা হ্যাকারদের টার্গেট ছিল বেশ কয়েক সরকারি প্রতিষ্ঠানও। প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলিকেও টার্গেট করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে ২০২০ সালের মে মাসের আগে প্লাগ এক্স ম্যালওয়ার সি ১ অবকাঠামোগত সিস্টেমগুলির আচমকাই বেড়ে বেড়ে যায়। যার বেশিরভাগই পরবর্তীকালে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে লক্ষ্য করে অনুপ্রবেশ কার্যকলাপে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্লাগ এক্স এর ক্রিয়াকলাপে ২০২০ সালের মে থেকে একাধিক ভারতীয় সংস্থাকে টার্গেট করা হয়েছিল। যারমধ্যে প্রতিরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাও ছিল। প্লাগ এক্স বহু বছর ধরেই চিন নেক্সাস গ্রুপগুলি ব্যবহার করেছে।  রেকর্ডেড ফিউচারের তদন্তকারীরা দাবি করছেন ভারতের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে লক্ষ্য করে একাধিক ক্রিয়াকলাপ চালান হয়েছিল বছরের বাকি সময়তেও। 

তবে তদন্তকারীরা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি চিনা হ্যাকাররা ভারতেক গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিতে কতটা অনুপ্রবেশ করতে পেরেছিল ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে আচমকাই ব্ল্যাকআউট হয়ে যায়। যা চিনা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয় বলেও একাধিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেই সময় দুঘণ্টার বিভ্রাটের ফলে বন্ধ হয়ে যায় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জও। একের পর এক ট্রেনও থমকে যায়। প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় বাণিজ্য নগরি। 

'তিনি কি বাংলার মা নন', রাজ্যের নির্যাতিতা মহিলার ছবি দিয়ে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি নেতার ...

'লাগা ভি দিয়া পাতা ভি নেহি চলা', কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া ছিল এটাই ...
রেকর্ডেড ফিউচারের চিফ অরারেটিং অফিসার স্টুয়ার্ট সলোমন একটি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন ভারতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্রগুলিতে প্রায় একডজন হ্যাকার টার্গেট করে বলেছিল। তারা একাধিকবার বিদ্যুৎ সেক্টরে প্রবেশ করার জন্য একাধিক কৌশল অবলম্বন করেছিল। গতবছর মে মাস থেকেই সামনে এসেছিল পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের তথ্য। ২০ জুন গ্যালওয়ান সংঘর্ষের সময় প্রকট আকার নেয়। বিশেষজ্ঞদের মত সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করার পাশাপাশি হ্যাকারদের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরেও অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছিল বেজিং।