সংক্ষিপ্ত
নাগপুর হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতিষ সেখানেই তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র প্রাণবন্ত
রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভাবিত করছে বিচার ব্যবস্থা। একাধিক বিচারপতি পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। তারপরই প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁর দেওয়া রায়গুলি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়টি চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের বিচারব্যবস্থা। এই অবস্থায় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় একটি স্বাধীন বার তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। বলছেন, যে এটি বিচারবিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত রয়েছে।
নাগপুর হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতিষ সেখানেই তিনি বলেন, 'আমাদের গণতন্ত্র প্রাণবন্ত। যুক্তি তর্কের বিশেষ স্থান রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যক্তিরই রাজনৈতিক মতাদর্শ ও প্রবণতা রয়েছে।' দার্শনিক অ্যারিস্টটলের রাজনৈতিক উক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষই রাজনৈতিক জীব। আইজীবীরাতও এর ব্যতিক্রম নয়। যাইহোক বার সদস্যদের ক্ষেত্রে একজনের সর্বোচ্চ আনুগত্য অবশ্যই দলীয় স্বার্থের দিকে থাকবে। তবে আদালত ও সংবিধানের প্রতি তাঁর কর্তব্য কিন্তু প্রধান ও প্রথম। এটি স্বাধীন বার যা আইনের শাশন ও সাংবিধানিক শাসন রক্ষার জন্য নৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক মূল্যবোঝ ও আদালতের মর্যাদা রক্ষার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বার অপরিহার্য।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন, বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা ও নির্দলীয়তা নির্বহী বিভাগ, আইনসভা থেকে ক্ষমতা পৃথকীকরণ ও নিহিত রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য বারবার উপলক্ষ্য হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বারের স্বাধীনতার মধ্যে একটি ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।'
Rahul Gandhi: মাত্র ৫ বছরে রাহুল গান্ধীর সম্পদ বেড়েছে ২৮ শতাংশ, রইল নেপথ্য কারণ
প্রধানবিচারপতি আরও বলেন, যে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়গুলি কঠোর কার্যধারা, পুঙ্খানুপুঙ্খ আইনি বিশ্লেষণ এবং সাংবিধানিক নীতিগুলির প্রতি অঙ্গীকারের চূড়ান্ত পরিণতি। কিন্তু একবার রায ঘোষণা করা হয়ে গেলে তা সর্বজনীন সম্পত্তিতে পরিণত হয়। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের কাঁধ প্রশস্ত করে। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তরা প্রশংসা ও সমালোচনা উভয়ই পেতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, মালাও হতে পারে আবার ইচপাটকেলও হতে পারে। পাশাপাশি তিনি বলেন, সাংবাদিকতার টুকরো মতামত আর সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য- সবই করা যায়। তিনি আরও বলেন, 'বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বিচারাধীন মামলা এবং রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করার প্রবণতা দেখে আমি খুব বিরক্ত হয়েছি। আপনি আদালতের প্রথম এবং প্রধান কর্মকর্তা এবং আমাদের আইনি বক্তৃতার সত্যতা এবং মর্যাদা আপনার মধ্যে রয়েছে।'
Weather Update: শনি-রবিবার সাবধান! তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হাওয়া অফিসের, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও