অন্ধ্রপ্রদেশে ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা হাজার খানেক মানুষ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হাসপাতালে কিং জর্জ হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে যান অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবার ও অসুস্থদের জন্য আর্থিক অনুদান ঘোষণা

অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ভোররাতে গ্যাস লিকের ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এনডিআরএফের তরফে জানান হয়েছে। বিষাক্ত গ্যাস নির্মণের ফলে আশেপাশের এলাকার প্রায় হাজারের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের সকলেরই চিকিৎসা চলছে বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে। ওই অঞ্চল থেকে প্রায় ২৫০ পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স।

Scroll to load tweet…

এদিকে গ্যাস লিকের ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে থাকা আক্রান্তদের অন্ধ্র সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা। এদিন কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি আহতদের দেখতেও জান জগন। 

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

বিশাখাপত্তনমে ওষুধ তৈরির কারখানার ২ টি ৫ হাজার টনের ট্যাঙ্ক থেকে বেরিয়েছে বিষাক্ত স্টায়রিন গ্যাস, জানালেন ভাইজাগ পুলিশের এসিপি (পশ্চিম)। তিনি আরও জানান, লকডাউনের কারণে মার্চ থেকে দেখভাল করা হয়নি ট্যাঙ্কগুলির। ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার জেরে ট্যাঙ্কের ভিতর তাপ উৎপন্ন হয়। লিক হতে থাকে এই বিষাক্ত গ্যাস। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাস। গ্যাস লিকের কারণে অনেক পশুপাখিরও মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে লুটিয়ে পড়তে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গ্রেটার ভাইজাগ পুরসভার তরফে শহরের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।