সংক্ষিপ্ত
আদানি গ্রুপ থেকে সীমান্তে চিনের আগ্রাসন- দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় কংগ্রেস। নোটিশ দিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসাদ মণীষ তিওয়ারি, মানিকম ঠাকুর।
আদানিগ্রুপের ইস্যুতে হাতিয়ার করে বাজেট অধিবেশন উত্তাল করতে চাইছে কংগ্রেস। পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যা নিও আলোচনার দাবিতে রয়েছে কংগ্রেসের। আদানি গ্রুপের ইস্যু ও সীমান্তে চিনা আগ্রাসন - এই দুটি বিষেয় নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ নোটিশ দিয়েছেন কংগ্রেসের দুই নেতা মানিকম ঠাকুর ও মণীশ তিওয়ারি। লোকসভায় দলের হুইপ ঠাকুর বলেছেন আদানী গোষ্ঠীর শেয়ার হ্রাসের কারণে দেশের অর্থব্যবস্থায় একটি জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই আলোচনা জরুরি। অন্যদিকে সীমান্তে চিনা অগ্রাসন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ দিয়েছেন আনন্দপুর সাহেবের লোকসভা সাংসদ মণীশ তিওয়াতি। তিনি বলেছেন জিরো আওয়ারে এই বিষয় আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
মানিকম ঠাকুরের বক্তব্য-
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন এসবিআই ও এলআইসি-র মাধ্যমে জনসাধারণের বিশাল অঙ্কের টাকা আদানিদের কাছে আটকে রয়েছে। রুটিন ব্যবসা বাদ দিয়ে বিষয়টি নিয়ে হাউসে অবিলম্বে আলোচনা করার প্রাসঙ্গিক। প্রকৃত ঘটনা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বিষদে তথ্য দেওয়া জরুরি। লোকসানের অবস্থা ও জনগণকের টাকা বাঁচাতে সরকার কী পদক্ষেপ করতে তা অর্থমন্ত্রীর জানানো উচিৎ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মণীশ তিওয়ারির মন্তব্য-
সীমান্তে চিনা আগ্রাসন বাড়ছে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকেই চিনা সেনা সীমান্তে এই কাজে নিয়োজিত রয়েছে। গোটা বিষয়টিকে একটি স্থির ভূমি দখলের বর্ণনা দেওয়া যেতে পারে। এই বছর ১৬ জানু.য়ারি পর্যন্ত ভারত ও তিনের মধ্যে ১৭ বার কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তাতে সামান্য সাফল্য এসেছে। কিন্তু চিনা সেনারা এখনও পর্যন্ত সীমান্তে সেতু আর রাস্তা তৈরি করছে। সেনাক্যাম্পও তৈরি হয়েছে। চিন একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পালটানোর চেষ্টা করছে। এটাই চিনের আগ্রাসন নীতি। তিনি আরও বলেন গালওয়ানের সংঘর্ষ স্থান থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অরুণাচল সীমান্ত । সেখানেও চিনা আগ্রাসন চলছে। এই পরিস্থিতি ভারতে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি চিন সীমান্ত নিয়ে সংসদে আলোচনা চান বলেও জানিয়েছে। বলেছেন স্পিকারের কাছে আলোচনার অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ১০১.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল ২০২১ সালে।
বিরোধীদের অবস্থান
আদানিগ্রুপের ইস্যুতে সরকারকে যাতে সমস্যা ফেলা যায় তার জন্য একটি যৌথ রণকৌশল তৈরি করেছে বিরোধীরা। তারা সংসদ কমপ্লেক্সে একটি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিল কংগ্রেস, ডিএমকে, টিএমসি, এসপি, জেডি(ইউ), শিবসেনা, সিপিআই(এম), সিপিআই, এনসিপি, আইইউএমএল, এনসি, এএপি এবং কেরালা কংগ্রেসের নেতারা
আরও পড়ুনঃ
Kolkata Metro Rail: শহরতলির মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর! রুবির মোড় পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে দ্রুত
সাগরদিঘির বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা, তাঁর মূল প্রতিপক্ষ মমতার আত্মীয়
Income Tax Slab: নতুন না পুরনো কোন কর কাঠামোতে সুবিধে পাবেন আয়কর দাতা? রইল তারই হিসেব