সংক্ষিপ্ত

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পরই শেয়ার বাজারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই অবস্থায় নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলেন গোতম আদানি।

 

নির্মলা সীতারণের বাজেট পেশের পরই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গৌতম আদানি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পরই তাদের আদানিদের সাতটি সংস্থার শেয়ার নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। এই অবস্থায় বুধবার থেকে নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া (FPO ) স্থগিত রেখেছে সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংস্থাটি তার ২০,০০০ কোটি ফলো-অন শেয়ার বিক্রি করে রেখেছে। তারা আরও বলেছে, বাজারের অস্থিরতা বিবেচনা করে ফলো-অন পাবলিক অফার বা এফপিও বাতিল করেছে। পাশাপাশি সংস্থা জানিয়েছে , বিনিয়োগকারীদের দ্রুত অফপিও-র অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

আদানি এন্টারপ্রাইসের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে সংস্থার প্রধান গৌতম আদানি জানিয়েছেন, 'আজ বাজার নজিরবিহীন ছিল। এবং আমাদের শেয়ারের দাম দিনভর ওঠানামা করেছে। এই অসাধারণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির বোর্ড মনে করেছে যে ইস্যুটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নৈতিকভাবে ঠিক হবে না। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য বোর্ড এফপিএ নিয়ে না এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' একই সঙ্গে আদানি এফপিএতে তাদের সমর্থন ও প্রতিশ্রুতির জন্য বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জনিয়েছেন। কারণ গতকাল সাবস্ক্রিপশন সফলভাবে বন্ধ হয়েছিল। গত সপ্তাহে শেয়ারর বাজারে অস্থিরতার পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবসা ও পরিচালনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস অটুট ছিল বলেও তিনি জানি.েছেন।

আদানি গোষ্টীর স্টক ও বন্ডে বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বুধবার। আদানি এন্টারপ্রাইসের শেয়ার ২৮ শতাংশ, আদানি পোর্ট ও স্পেশাল ইকোনামিক জোনের শেয়ার ১৯ শতাংশ কমেছে। দুটির জন্য বুধবার ছিল একটি খারাপ দিন।

যদিও হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর গত সপ্তাহে আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছিল তারা এফপিও ছাড়়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসবে না। সেইসঙ্গে আমেরিকার শেয়ার গবেষণা সংস্থাগিতে দেওয়া ৮১৩ পাতার জবাবে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগে ভারত ও দেশের প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক বৃদ্ধির ওপর আক্রমণ বলেও সমালোচনা করেছিল। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আদানি এন্টারপ্রাইস এফপিওতে শেয়ার বিক্রি করেছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পরে গত শুক্রবার প্রথম দিনে এই শেয়ার কিনতে আবদেন পড়েছিল মাচ্র ১ শতাংশ। উল্টে শেয়ার বিক্রি ও তার দরে বিপুল পতনের জেরে লগ্নীকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সবমিলিয়ে বিএসই বিনিয়োগকারীদের ১১ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সেবি ও এক্সচেঞ্জগুলি। কারচুপির অভিযোগ ওঠায় আদানিগোষ্ঠীতে এলআইসি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাঙ্কের লগ্নি ও ঋণ নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নামতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ

বাজেটের প্রভাব কি কলকাতা ও দেশের জ্বালানি তেলের দামে পড়ল? দেখে নিন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম

Weather Update: মেঘলা আকাশে শীতের আমেজ কলকাতা ও দক্ষিণের জেলাগুলিতে

Budget Highlight: আরও শক্তি বাড়ছে CBI-র? নির্মলার বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর