সংক্ষিপ্ত
জয়শঙ্করকে আক্রমণ করে, সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেন, 'একই সাক্ষাত্কারে এস জয়শঙ্কর বড়াই করেছেন যে তিনি চিনে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আপনি যা বলছেন, সে অনুযায়ী বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সামনে ছোট দেশগুলোর লড়াই করা উচিত নয়।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার এক সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা গান্ধী এবং কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। এবার এস জয়শঙ্করের বিরুদ্ধে কড়া পাল্টা জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস জিজ্ঞাসা করেছে যে এস জয়শঙ্কর বলেছেন যে চিন একটি বড় অর্থনীতি এবং আমরা ছোট, তাই আমরা তাদের সাথে লড়াই করতে পারি না, এর অর্থ কী? কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর চীন সম্পর্কে যা বলেছেন তা উদ্বেগজনক, বিদেশমন্ত্রী দেশের প্রতিটি সৈন্যের মনোবল ভাঙার কাজ করেছেন।
সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেছিলেন যে আপনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে বিবৃতি দিতে কোনও সমস্যা নেই। সেটা করতে গিয়ে নিজের দেশকে ছোট করে ফেলেছেন আপনি। তিনি আরও বলেছিলেন যে এস জয়শঙ্কর এই দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, 'গালভান উপত্যকায় দেশের ২০ জন সেনা শহিদ হয়েছে এবং আমাদের দেশের বিদেশমন্ত্রী বলছেন যে আমরা ছোট অর্থনীতির দেশ তাই আমরা চীনের মতো বড় অর্থনীতিকে আক্রমণ করতে পারি না।'
জয়শঙ্করকে নিশানা করেছে কংগ্রেস
জয়শঙ্করকে আক্রমণ করে, সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেন, 'একই সাক্ষাত্কারে এস জয়শঙ্কর বড়াই করেছেন যে তিনি চিনে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আপনি যা বলছেন, সে অনুযায়ী বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সামনে ছোট দেশগুলোর লড়াই করা উচিত নয়। এটি এখন পর্যন্ত চিনের সবচেয়ে বিতর্কিত বক্তব্য। আমি জিজ্ঞাসা করছি আপনি এবং আপনার প্রভু চীনের নাম কেন নেন না?
জয়শঙ্করকে কটাক্ষ করে সুপ্রিয়া শ্রীনেট জিজ্ঞাসা করলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কি আপনার পরামর্শে দেশের সামনে মিথ্যা বলেছেন যে কেউ ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেনি? আপনার সরকার কি শুধু আপনার পরামর্শেই চিন ইস্যুতে নীরব থাকে? গালভানে ২০ সেনা শহিদ হওয়ার পরও ভারত কেন চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে, বলবেন কি?
এর আগে, চিন ইস্যুতে কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কারণ লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চিনা আগ্রাসন নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে মাঝে মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল গান্ধী। এদিন তারই জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় মোদী সেনা বাহিনী পাঠিয়েছেন, রাহুল গান্ধী নন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারত সরকার বিশাল সেনা বাহিনী পাঠিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন বিদেশমন্ত্রী। লাদাখ ও অরুণাচলপ্রদেশ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে রীতিমত সরব কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি এই এলাকায় চিনা সেনার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুই করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করে কংগ্রেস। কিন্তু এদিন জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কংগ্রেসের অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য।