সংক্ষিপ্ত
- সাভারকারের ভারতরত্ন নিয়ে আবার বিতর্ক
- সেলুলার জেলে বাকি বন্দিরাও জেল খেটেছেন
- তাঁর ইংরেজদের কাছে মুচলেকা দিয়ে বেরোননি
- তাহলে তাঁরা কেন ভারতরত্ন পাবেন না, প্রশ্ন কংগ্রেসের
সাভারকার-বিতর্ক অব্য়াহত। এবং সেইসঙ্গে অব্য়াহত তাঁর ভারতরত্ন-বিতর্কও। এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কার্যত প্রশ্নই তোলা হল, যদি সাভারকারকেই ভারতরত্ন দিতে হয়, তাহলে আন্দামান সেলুলার জেলের অন্য় বন্দিরা কী দোষ করলেন, যাঁরা ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বেরোননি?
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র সচিন সাবন্ত শনিবার বলেন, "সাভারকার আম্বেদকরকে বলেছিলেন মাথেফিরু (উন্মাদ) আর বৌদ্ধদের বলেছিলেন রাষ্ট্রদ্রোহী। বিজেপি সংখ্য়াগরিষ্ঠতার জেরে সাভারকারকে ভারতরত্ন দিতেই পারে, যদি তারা এগুলো এড়িয়ে যেতে চায়।"
শিবসেনা প্রধান সঞ্জয় রাউত এদিন সাভারকারের ভারতরত্ন প্রাপ্তি নিয়ে বিরোধীদের ভূমিকাকে প্রশ্ন করেছিলেন। যার প্রত্য়ুত্তরে কয়েকঘণ্টার মধ্য়ে শনিবার কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, হিন্দুত্ববাদীদের উচিত আন্দামানের ওই জেলে গিয়ে ক-দিন কাটিয়ে আসা। যাতে করে তাঁরা উপলব্ধি করতে পারেন যে, ইংরেজদের কাছে ক্ষমা না-চেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দিনের-পর-দিন কী সাংঘাতিক আত্মত্য়াগ করেছেন সেখানে। প্রসঙ্গত, এর কয়েকঘণ্টা আগেই শিবসেনার তরফে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বলা হয়েছিল, বিরোধীরা যাঁরা সাভারকারের ভারতরত্ন পাওয়ার বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উচিত আন্দামান সেলুলার জেলে গিয়ে অন্তত দুদিন কাটিয়ে আসা। যার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসের 'ক্ষমা চাওয়ার' এই পাল্টা খোঁচা।
কংগ্রেসের সচিন সাওয়ান্ত এদিন টুইট করেন-- সাভারকার শুধু আম্বেদকরকে উন্মাদ বা বৌদ্ধদের দেশদ্রোহী বলেই ক্ষান্ত থাকেননি, সেইসঙ্গে ছত্রপতি শিবাজীর অনেক ভাল কাজেরও সমালোচনা করেছিলেন তিনি। আর এইভাবে মহারাষ্ট্রে শিবাজির সেন্টিমেন্টও উসকে দিল কংগ্রেস, সাভারকারের প্রসঙ্গ টেনে।
প্রসঙ্গত, ভারতরত্ন দেওয়া নিয়ে নতুন করে সাভারকার-বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাম-কংগ্রেস সবারই বক্তব্য়, যিনি ইংরেজদের কাছে রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে সেলুলার জেল থেকে বেরিয়েছিলেন, তিনি কেবল হিন্দুত্ববাদীদের আদিগুরু ছিলেন বলেই তাঁকে ভারতরত্ন দিতে হবে, এ কেমন যুক্তি। বছরের গোড়়ায় মধ্য়প্রদেশে কংগ্রেসের এক কর্মশালায় সাভারকারকে নিয়ে একটি পুস্তিকা বিলি করা হয়-- ' বীর সাভারকার কতটা বীর'। সেখানে সাভারকারকে সমকামী বলে দাবি করা হয়। সেখানে লেখা হয়, নাথুরাম গডসের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবির পাল্টা রাহুল গান্ধিকে সমকামী বলে দাবি করে।