সংক্ষিপ্ত
কয়েক মাস আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে ৫২ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারপর মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। এবার দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপএর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসের পক্ষেই সওয়াল করেন।
কংগ্রেসই একমাত্র পারে হিমাচল প্রদেশ আর গুজরাট নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। দল বদলের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে এই জাতীয় মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। পাশাপাশি তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে তিনি দিল্লি কেন্দ্রিক একটি দল হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
গুলাম নবি আজাদ বলেছেন তিনি কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে তিনি কখনই ছিলেন না। কিন্তু তিনি একটি দুর্বল দলের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা এনএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেথেন, কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও তিনি কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে পূর্ণ সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন , তিনি চান কংগ্রেস গুজরাট আর হিমাচল প্রদেশের ভোটে ভাল ফল করুন। আপ কংগ্রেসের সমকক্ষ নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রেখে গুলামনবি আজাদ বলেন, দলটি হিন্দু, মুসলিম আর কৃষকদের নিয়ে চলে। আম আদমি পার্টি রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি। পঞ্জাবের মানুষ আগামী দিনে তাদের ভোট দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন আম আদমি পার্টি দিল্লি কেন্দ্রিক একটি দল। এটি পঞ্জাবে সুশাসন আনতে পারেনি। পঞ্জাবের মানুষের জন্য তেমন কোনও কাজ করতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শনিবার। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটি একটি বড় সমস্যা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই পদক্ষেপ নেয় তাহলে তাদের স্বাগত জানাবেন তিনি ও তাঁর দল।
বর্তমানে ডোডা জেলা সফর করছেন গুলামনবি আজাদ। দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সোমবার একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। গত ২৬ অগাস্ট কংগ্রেসের সঙ্গে ৫২ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে নতুন দল তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর নাম গণতান্ত্রিক আজাদ পার্টি। একটা সময় গুলাম নবি আজাদ সোনিয়া গান্ধীর পদত্যাগের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি কংগ্রেস জি২৩ গ্রুপের নেতাদের মধ্য়ে একজন ছিলেন। যিনি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তারপর দল ছাড়েন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দল ছেড়েই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার আগে অবশ্য রাজ্যসভায় তাঁর বিদায়ের দিনে চোখের জল ফেলে তাঁকে বিদায় জানিয়েছিলেন মোদী। সংসদের সেই ঘটনা রীতিমত তোলপাড় করেছিল দেশের রাজনীতি।
আরও পড়ুনঃ
তিরুপতির ঠিক কত কোটি টাকা-সোনা আর সম্পত্তি রয়েছে, তারই বিস্তারিত হিসেব দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ
'আমি গুজরাট তৈরি করেছি', ভোটের আগে নতুন স্লোগানে জাত্যাভিমান উস্কে দিলেন মোদী
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে 'ফেকরিওয়াল' বলে কটাক্ষ, আদমপুর উপনির্বাচন যেন বিজেপির তুরুপের তাস