সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। কংগ্রেসের সমস্ত পদ ইস্তফা দিয়েছেন গুলাম আলি। 
পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে দল ও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পাশাপাশি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। 
 

কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ছেদের অন্যতম কারণ হিসাবে রাহুল গান্ধীকেই দুষলেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ। এমনকী গত কয়েক বছরের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভরাডুবির কাণ্ডারী হিসেবেও কার্যত রাহুল গান্ধীকেই কাঠগোড়ায় তুললেন গুলাম আলি। শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। কংগ্রেসের সমস্ত পদ ইস্তফা দিয়েছেন গুলাম আলি। 
পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে দল ও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পাশাপাশি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। 


সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে গুলাম আলি লিখেছে, ‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটা প্রহসন। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের নির্বাচনই হয়নি।’ পাশাপাশি নাম না করেই রাহুল গান্ধীকে বিঁধে তিনি বলেন,'দলের এই অবনতির কারণ গত আট বছর ধরে এক 'অপরিণত' ব্যাক্তির নেতৃত্ব। রাহুলকে নিশানা করে গুলাম আরও লেখেন, ‘অপরিণত হওয়ার সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল, সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাহুল গাঁধীর হাতে সরকারি অধ্যাদেশ ছেঁড়া...। এই ধরনের শিশুসুলভ আচরণ প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারের কর্তৃত্বকে ধ্বংস করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে ইউপিএ সরকারের পরাজয়ের নেপথ্যে যে অবদানগুলি রয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম।’ এমনকী গত কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্যও যে সরাসরি রাহুল গান্ধীকেই দায়ী করেন তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে গুলাম নবি। 

আরও পড়ুনকংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন কি বিশবাঁও জলে? রাজীব গান্ধীর জন্মদিনেও নিজের অবস্থানে অনড় রাহুল 


কংগ্রেরর 'বিক্ষুব্ধ' গোষ্ঠীর নেতাদের তালিকায় আনন্দ শর্মাদের পাশাপাশি নাম উঠেছিল গুলাম নবি আজাদেরও। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি এবং রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেল থেকে আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে সনিয়াকে চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন যে ২৩ কংগ্রেসী নেতা গুলাব নবি আজাদ তঁদের মধ্যে অন্যতম। 
এর আগে হিমাচল প্রদেশের ‘পর্যবেক্ষক কমিটি’র প্রধানের পদ থেকে আনন্দ শর্মার ইস্তফা এবং আজ গুলাম নবি আজাদের পদত্যাগে আরও একবার কংগ্রেসের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছে। 

আরও পড়ুনরাজীব গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে টুইটারে তাঁর পাইলট লাইসেন্সের ছবি শেয়ার করলেন শশী থারুর