সংক্ষিপ্ত
গত জুলাই মাসে দুপুর ১২ টা নাগাদ ৫ জনের একটি দল মায়াঙ্ক বাজাজের বাড়ির সামনে পৌঁছয়। বাড়িতে ব্যবসায়ীর বৃদ্ধা মায়ের একা থাকার সুযোগে গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ীত করে দুষ্কৃতীরা।
সিনেমার কায়দায় ডাকাতির ছক। মুম্বই পুলিশের তৎপরতায় হদিশ মিলল গ্যাং-এর। শুক্রবার মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ব্যবসায়ী মায়াঙ্ক বাজাজের বাড়িতে ডাকাতি ও আয়কর দফতরের কর্মী সেজে রেডের অপরাধে অভিযুক্ত চারজন। মুম্বই-এর ভিক্রোলির মেয়ফেয়ার, সোনাটা গ্রিন, হিরানান্দানী আবাসনে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
গত জুলাই মাসে দুপুর ১২ টা নাগাদ ৫ জনের একটি দল মায়াঙ্ক বাজাজের বাড়ির সামনে পৌঁছয়। বাড়িতে ব্যবসায়ীর বৃদ্ধা মায়ের একা থাকার সুযোগে গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ীত করে দুষ্কৃতীরা। আয়কর দফতরের আধিকারীকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পরে অভিযুক্ত কোঠারি, ভাটনগর, কোরেশি, মরিয়ম আপা এবং শামীম খান নামক ৫ ব্যাক্তি। জানা যাচ্ছে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পদবী, জাল পরিচয়পত্র সহ একটি ভুয়ো তল্লাশির পরোয়ানাও দেখান তাঁরা। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ লাখ টাকা হাতে আসে দুষ্কৃতীদের। শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাড়িতে এসে পড়লে তল্লাশির অজুহাতে তাঁর ফোন কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা।
পরে গোটা ঘটনাটি আয়কর দফতরে জানানো হলে আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে এরম কোনও রেড করা হয়নি বলে জানানো হয়। এরপরই পার্ক সাইট থানার পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানান মায়াঙ্ক।
আরও পড়ুন - আমুল দুধের ট্রাকে গরু? অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে 'অভিনব কায়দায়' গরু পাচারের অভিযোগ বিজেপির
সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যায় ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত ইনোভাটি এজাজ খান নামক এক ব্যাক্তির। যিনি একদিনের জন্য গাড়িটি কোঠারিকে ভাড়া দিয়েছিলেন।
তদন্তে জানা যায় বাড়ির পরিচালিকা নীতা কাম্বালে বাড়িতে একটি মোটা অঙ্কের টাকা থাকার খবর দেয় ওই গ্যাং-কে। তারপর গোটা ডাকাতির ছক কষে ফেলে অপরাধীরা।
ধৃত ধীরজ কাম্বলে, প্রশান্ত ভাটনগর, ওয়াসিম কুরেশি এবং এজাজ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এই র্যাকেটের মূল হোতা - নীতিন কোঠারি, নীতা কাম্বলে, মরিয়ম আপা এবং শামীম খান। এখনও এই চার জনের হদিশ মেলেনি।
গত ছয় বছর ধরে নীতা কাম্বালে ও ধীরাজ কাম্বালে এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজ করে। দুজনে একই পাড়ায় থাকে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছ বছর দুয়েক আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে মিম্বই-এর ধারাভির বাসিন্দা নীতিন কোঠারির সঙ্গে তাঁদের আলাপ হয়।
আরও পড়ুন - ভগবানপুরের ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু, কাঁথি হাসপাতালে থেকে উদ্ধার হল দেহ