সংক্ষিপ্ত
পাটনায় ১২টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠক শেষ। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করার বার্তা দিল বিরোধীরা।
পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠকে ২০২৪ সালে জোট বেঁধে লড়াইয়ের বার্তা দিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করলেই সাফল্য আসবে বলেও দাবি কংগ্রেস, টিএমসি , আরজেডি, আপ-সব একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের। শুক্রবার দীর্ঘ সময় ধরেই বিরোধীরা বৈঠক করেন। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা সিমলায়। নীতিশ কুমারের আমন্ত্রণে এদিন পাটনায় বিজেপি বিরোধী ১২টি রাজনৈতিক দল বৈঠকে সবে। সেখানে থেকেই ২০২৪ সালের নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াইয়ের বার্তা দেয় সকলেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কথায় এটি কোনও ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়, এটা হল আদর্শ আর দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার লড়াই।
এদিন বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে। নীতিশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব, ওমর আব্দুল্লাহ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এমকে স্ট্যালিন। বাম দলের প্রতিনিধিদেরও উপস্থিতি ছিলে। ছিলেন সীতারমার ইয়েচুরি, ডি রাজা। বৈঠকে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর মেয়ে সদ্য এনসিপির দায়িত্ব পাওয়া সুপ্রিয়া সুলেও উপস্থিত ছিলেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপির আমলে দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেলে দেশ বাঁচানো সনম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেম পাটনার মাটি আন্দোলনের মাটি। এখান থেকেই তাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হল। উদ্ধব ঠাকরে বলেন, বিজেপির জমানা দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সিপিআই নেতা ডি রাজা বলেন, সম্পূর্ণ হারিয়ে যাওয়া বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগেই প্রজাতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেই জন্য বিরোধীদের বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, এটা ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়, এটা মূল্যবোঝ আর আদর্শের লড়াই। তবে দীর্ঘদিন পরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিল লালু প্রসাদ যাদব। তিনিও রীতিমত আক্রমণ করে বলেন, ভগবান হনুমানের গদার ঘায়ে বিজেপি কর্ণাটকে হেরেছে। আর রাহুল গান্ধীরা জয় লাভ করেছে।
নীতিশ কুমার বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করার জন্য ১২টি বিরোধী দলকে পাটনায় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ১২টি বিরোধী দলের উপস্থিতিতে পাটনায় হচ্ছে বিরোধীদের বৈঠক। বিজেপি হারাতে নীতিশের উদ্যোগে এটাই প্রথম বৈঠক। আগামী দিনে রণকৌশল ঠিক করতে আরও এজাতীয় বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মকর্তারা। রয়েছেন মমতা, কেজরিওয়াল। যদিও রাজনৈতিক দলগুলির নিজের মধ্যেও একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা কতটা কাটিয়ে উঠতে পারবে তাই এখন দেখার।