সংক্ষিপ্ত

কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর বলেছে, সত্যের জয় হয়েছে। আমি তাকে তিহার জেলে স্বাগত জানাই। আমি তার সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দেব। মুখোশ খুলে দেব।

 

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রীতিমত খুশি আর্থিক তছরুম মামলার অভিযুক্ত কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর। বর্তমানে সে তিহার জেলে বন্দি রয়েছে। সেখান থেকেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহার জেলে স্বাগত জানিয়েছে। বলেছে, 'কেজরিওয়াল স্বাগত তিহার জেলে। ' পাশাপাশি দিল্লির বাতিল হওয়া আফগারি নীতি নিয়েও কটাক্ষা করেছে। বলেছেন, সত্যোর জয় হয়েছে। আগামী দিনে সে আদালতে সরকারি সাক্ষী হয়ে কেজরিওয়ালের কীর্তি ফাঁস করে দেবে বলেও হুমকি দিয়েছে।

কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর বলেছে, 'সত্যের জয় হয়েছে। আমি তাকে তিহার জেলে স্বাগত জানাই। আমি তার সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দেব। মুখোশ খুলে দেব। আমি কেজরিওয়াল ও তার দলের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী হয়ে উপস্থি হব আদালতে। আমি যে কোনও প্রকারে তার শাস্তির ব্যবস্থা করব।' সংবাদ সংস্থা পিটিআইএর প্রশ্মের উত্তরে এই হুমকি দিয়েছে সুকাশ চন্দ্রশেখর।

এখানেই শেষ নয়, এর আগেই মদনীতি আর আম আদমি পার্টির নেতাদের কটাক্ষ করে তিহার জেল থেকেই সুকেশ চন্দ্রশেখর একটি চিঠি লিখেছিল। সেখানে সে বলেছিল, তিন ভাই এখন তিহার জেলে ক্লাব চালাবে। কেজরিওয়াল ও তার মন্ত্রীদের নিশানা করেই এই বার্তা বলে অনেকেই মনে করেছে। গতকাল, শুক্রবার কেজরিওয়ালকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। তার মাত্র এক দিন পরেই জেল থেকে সুকেশ চন্দ্রশেখরের এই বার্তাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর ইডির কাজে কেজরিওয়ালের মামলায় রাজসাক্ষীও হতে চেয়েছে সুকেশ। তিনি একাধিকবার দাবি করেছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। যা কেজরিওয়ালকে সাজার কাছাকাছি নিয়ে যাবে। এই মামলায় ধৃত বিআরএস নেত্রী কবিতা আক্কার গ্রেফতারির পরই সে বলেছিল এবার বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে কেজরিওয়াল। আর তার গ্রেফতারির পরই সে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।