সংক্ষিপ্ত
ঈশ্বরাপ্পা একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য তিনি কথনই পদত্যাগ করবেন না। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন কোনও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাকে মৃত্যুর নোট হিসেবে বিবেচনা যায় কিনা।
এক ঠিকাদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল কর্নাটকের রাজ্যরাজনীতি। তবে সেই ঘটনার রেশ আর কর্ণাটকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ইতিমধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে অন্যত্র। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। উদুপির একটি লজে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে ঠিকাদার সন্তোষ পাতিলকে। ৩৭ বছরের এই ঠিকাদার রাজ্যের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই সংক্রান্ত হোয়াটঅ্যাপ বার্তাও ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে। এদিন মৃতের পরিবার সন্তোষের মৃত্যুর অভিযোগ দায়ি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রীকে। মৃতের ভাইয়ের দায়ের করা এফআইআর-এর বয়ান অনুযায়ী সন্তোষকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। সেইঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মন্ত্রীকে। এই ঘটনার পরই রাজ্যজুড়ে যখন তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা তখনই ঈশ্বরাপ্পা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এই ঘটনার পাল্লা হিসেবে ঈশ্বরাপ্পা একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য তিনি কথনই পদত্যাগ করবেন না। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন কোনও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাকে মৃত্যুর নোট হিসেবে বিবেচনা যায় কিনা। তিনি রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তিনি বলেছেন মৃত্যুর নোটে সন্তোষ পাতিলের কোনও রকম সই নেই। তাই তিনি পদত্যাগ করে বিরোধীদের কাছে মাথা নত করবেন না। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মৃত্যুর আগে সন্তোষের অভিযোগ ছিল ঈশ্বরাপ্পা একটি উসবের আগে বেলাগাভি জেলার হিন্দালগা গ্রামে একটি নাগরিক তহবেলের জন্য ৪০ শতাংস কমিশন দাবি করেছিলেন। সূত্রের খবর একটি স্থানীয় একটি হ্রদ পরিষ্কার করতে ৪ কোটি টাকার টেন্ডার ভরে ছিলেন তিনি। কিন্তু টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৪০ শতাংশ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। এই ঘটনায় নাম জড়েয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোবাইয়ের।
তবে ঈশ্বরাপ্পা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাইও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সন্তোষকে মৃত্যুর জন্য বিরোধীরা প্ররোচনা দিয়েছিল বলে তাদের অভিযোগ। তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি পাতিলকে চেনেন না। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি ও তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। ঈশ্বরাপ্পার কথায় তিনি এদিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন পাটিলের সঙ্গে বিজেপ কোনও যোগ নেই। কিন্তু পাতিলের সঙ্গে বিরোধীদের যোগ খুঁজতে রীতিমত চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজ্যে বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই বিরোধীরা এই কাজ করছে বলেও অভিযোগ করে বিজেপি নেতা কর্মীরা।