সংক্ষিপ্ত

সংসদ অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই, এথিক্স কমিটি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নগদ ভোটের ক্ষেত্রে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে। সূত্র বলছে, কমিটি তৃণমূল সাংসদের সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করেছে। এমনটা হলে প্রথম দিন থেকেই অধিবেশন বেশ উত্তাল হতে পারে।

সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরের দিন থেকেই অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে বর্ণাঢ্য জয়ের কারণে বিজেপির মনোবল বেশ তুঙ্গে। অন্যদিকে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করবে। তবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল তৈরি করতে বিরোধীদের বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে। সংসদ অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই, এথিক্স কমিটি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নগদ ভোটের ক্ষেত্রে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে। সূত্র বলছে, কমিটি তৃণমূল সাংসদের সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করেছে। এমনটা হলে প্রথম দিন থেকেই অধিবেশন বেশ উত্তাল হতে পারে।

ইডির অভিযান এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা

সিবিআই এবং ইডি-র অপব্যবহার সহ সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য বিরোধীদের অনেক বিষয় রয়েছে। এছাড়াও, কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দল বিরোধী নেতাদের হোম অফিসে ইডির অভিযানের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব ছাড়াও, সম্প্রতি কানাডা এবং আমেরিকা ভারতকে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে। এ নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে কোণঠাসা করতে পারে বিরোধী দলগুলি।

মহুয়া মৈত্রের বিষয়ে এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্ত

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সদস্যপদের বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ক্যাশ ফর কোয়েরি মামলায় এথিক্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সূত্র জানায়, কমিটি সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করেছে। বাস্তবে যদি এমনটা হয়, তাহলে প্রথম দিন থেকেই বিরোধী দলগুলি সংসদে তোলপাড় সৃষ্টি করতে পারে।

উল্লেখ্য বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, দর্শন হিরনন্দানির থেকে টাকা নিয়ে মহুয়া মৈত্র সাংসদে একের পর এক প্রশ্ন করেছিলেন। সংসদীয় অ্য়াকাউন্টের লগইন আইডি আর পাশওয়ার্ডও শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে মহুয়া-সহ বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ মহুয়া সংসদে ক্রমাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আদানি ইস্যুতে আক্রমণ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে হেনস্থা করছে বিজেপি। মহুয়ার মুখ বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।