সংক্ষিপ্ত
- দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী
- ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪৮ জন
- মৃত্যু হয়েছে ৯৭৯ জনের
- দৈনিক সুস্থতার হার ৯৬.৮০ শতাংশ
দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী। রবিবারের থেকে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কম। গতকাল সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪৮ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৩১।
আরও পড়ুন- কোভিডে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ উত্তর ২৪ পরগণায়, চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং
আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে মৃতের সংখ্যাও। রবিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৫৮। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭৯ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩০।
অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষের নিচে রয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৯৪। মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে।
আরও পড়ুন- করোনা রুখতে বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোন হাওড়ায়, চিহ্নিত ৭৬ এলাকা, ৩ দিন বন্ধ বাজার
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮ হাজার ৫৭৮ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯ হাজার ৬০৭ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৮০ শতাংশ। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৪০ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পিছিয়ে যেতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ, তারই মধ্যে দৈনিক এক কোটি করোনা টিকা দিতেই হবে
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর সেই কারণে যতটা দ্রুত সম্ভব দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে করোনার এক নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশ্বের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।