সংক্ষিপ্ত

  • পরপর নাশকতামূলক কাজে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ
  • স্পেশাল পুলিশ অফিসার ও তাঁর স্ত্রীকে গুলি
  • ঘটনাস্থলেই মৃত দুজন
  • একমাত্র কন্যা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে

২৭শে জুন জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, জম্মু থেকে সেদিনই উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক, এরই সঙ্গে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে প্রাণঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। পরপর নাশকতামূলক কাজে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ। স্পেশাল পুলিশ অফিসার (SPO) ও তাঁর স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। রবিবার রাতে পুলওয়ামার হরিপরিগম গ্রামে এই হামলা চলে। পুলিশ অফিসারের একমাত্র কন্যা রাফিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। 

 

কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে প্রাক্তন স্পেশাল অফিসার ফয়াজ আহমেদের বাড়ি ঘিরে ফেলে জঙ্গিরা। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। এই ঘটনায় তিনজনেই গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে মারা যান অফিসার ও তাঁর স্ত্রী রাজা বেগম। ওই পুলিশ অফিসারের বাড়ির চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও অফিসার ও তাঁর স্ত্রীকে বাঁচানো যায়নি। বছর দুয়েক ধরেই ওই অফিসারকে কাজ থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই অফিসারের ছেলে টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। 

 

এদিকে, রবিবারই মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয় জম্মু বিমানবন্দরে। রবিবার ভোররাতে কেঁপে উঠল জম্মু বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এরিয়া। ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এই ঘটনায় দু'জন জওয়ান জখম হয়েছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা। 

জম্মু বিমানবন্দরের রানওয়ে ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনস্থ। সেখান থেকে যাত্রীবাহী উড়ানও চলাচল করে। সেখানেই টেকনিক্যাল এরিয়া কাছে রবিবার ভোররাতে ৫ মিনিটের ব্যবধানে ২টি বিস্ফোরণ হয়। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় রাত ১টা ৩৭ মিনিটে। আর দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে খোলা জায়গায়, রাত ১টা ৪২ মিনিটে।

জম্মু ও কাশ্মীরে রীতিমত বড় নাশকতার ছক কষেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে তার ভয়াবহতা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরেই জম্মু থেকে উদ্ধার হয় একটি 'তাজা বোমা' বা crude bomb। আইইডি (IED) বিস্ফোরণ ঠাসা বোমাটি একটি ভিড়ে ঠাসা এলাকাতেই লাগান হয়েছিল। তবে তা বিস্ফোরণের আগেই নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।  সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক বলেও স্থানীয় প্রশাসন দাবি করছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, লস্কর  ই তৈবার সদস্যরাই এই হামলার ঘটনায় যুক্ত রয়েছে।