সংক্ষিপ্ত


মহামারি এখনও তৃতীয় স্তরে পৌঁছায়নি
ছোট ছোট এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে 
দেশে জনসংখ্যা বেশি বলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি
বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন 
 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এদিন গোটা দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও পর্যালোচনা করতে একটি বৈঠক করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী  বলেন  মহামারির তৃতীয় পর্যায় পৌঁছায়নি দেশ। পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি আগামী দিনের কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয়  স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৭,২৯৬। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।  মৃত্যু হয়েছে ২১,১২৯ জনের। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু সংখ্যা ৪৮৭। করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র,  আক্রান্তের ২ লক্ষেরও বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু ও গুজরাত। দুটি রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। 

উপত্যকার বিজেপি নেতা খুনে কি হাত ছিল নিরাপত্তা রক্ষীদেরও, ঘটনার তীব্র নিন্দা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ...

ইনফ্লুয়েঞ্জাকেও ছাড়িয়ে গেল করোনা, বিশ্বে আক্রান্ত ১ কোটি ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ...


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন সমস্ত দিক বিবেচনা করেই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আমাদের দেশে মহামারি এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কয়েকটি ছোট ছোট এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু তা এখনও বিশালাকার ধারন করেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এপর্যন্ত মোট ১৮ বার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল, যার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায় দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত। এই দেশে এখনও পর্যন্ত প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৮। কিন্তু বিশ্বে এই সংখ্যা ১৪৫৩। তিনি আরও বলেন করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া দৈনিক তথ্য পরিসংখ্যন দেখলেই বোঝা যায় এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে গেছেন ৪৭৬৩৭৭। যেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৬৯৭৮৯। সুস্থ ও চিকিৎসাধীন মানুষের মধ্যে প্রায় ২ লক্ষের ফারাক রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন দেশে আক্রান্তদের যথাযথ পরিচর্যার জন্য বাড়ান হয়েছে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ও আক্সিজেন দেওয়া যায় এমন শয্যার সংখ্যা।