সংক্ষিপ্ত

  • ভারতে করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষের কাছাকাছি
  • রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় স্থানে যেতে আর বেশি দেরি নেই 
  • তবে দেশে সুস্থতার হার নতুন করে আশা জাগাচ্ছে
  • শুক্রবার দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লক্ষ ৪২ হাজারের বেশি

দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবার সাড়ে ছয় লক্ষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। ফের নতুন রেকর্ড গড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। শনিবার সেই রেকর্ডও ভাঙল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ২২ হাজার ৭৭১ জন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩১৫। 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৪৪২ জনের। ফলে দেশে কোভিড ১৯ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৫। তবে দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬০.৮ শতাংশ। মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে ইতিমধ্যে সুস্থ জীবনে ফিরেছেন ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ২২৭ জন। ফলে দেশে বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৩৩। 

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৮৩। আর ভারতে ৩ জুলাই পর্যন্ত মোট কোভিড ১৯ টেস্ট হয়েছে ৯৫ লক্ষ ৪০ হাজার ১৩২। 

 

দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে এক নম্বরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮,৩৭৬ জনের। তবে আশার খবর, ইতিমধ্যে মারাঠা রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এদিকে দেশের রাজধানী দিল্লি মোট সংক্রমণে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ৯৪ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২,৯২৩ জনের। তবে রাজধানীতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫,৬২৪ জন।

দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে। দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। তবে রাজ্যটিতে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ। কোভিড ১৯ প্রাণ কেড়েছে ১,৩৮৫ জনের।

গোটা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মারণ ভাইরাস এখনও পর্যন্ত প্রাণ কেড়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষের। সংক্রমণের দিক থেকে এখনও এক নম্বরে রয়েছে আমেরিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছে ৫৭ হাজারের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। তবে মোট আক্রান্তের সংখ্যায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ক্রমেই ব্যবধান কমছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে মোট আক্রান্তের সংখ্যায় ভারতের রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।