সংক্ষিপ্ত
কলকাতার কিশোরীকে মহারাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাঁকে জোর করে যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই অভিযোগের ভিত্তিকে এক দম্পতিকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। নাগপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগেই কলকাতার অপহৃত কিশোরী বাড়ি ফিরতে আসতে পারে ।
কলকাতার কিশোরীকে মহারাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাঁকে জোর করে যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই অভিযোগের ভিত্তিকে এক দম্পতিকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। নাগপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগেই কলকাতার অপহৃত কিশোরী বাড়ি ফিরতে আসতে পারে । কারণ ওই সংগঠনটি যৌনবৃত্তি গ্রহণ বাধ্য করা তরুণী বা মহিলাদের স্বার্থে কাজ করে। তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেই সংগঠনই প্রথম যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে। তারপর কলকাতা পুলিশ আঁটঘাট বেঁধেই তরুণীকে উদ্ধার করে দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রের খবর ১৪ বছরের কিশোরীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কলকাতা থেকে। সেখান থেকে তাঁকে মহারাষ্ট্রের একাধিক শহর হয়ে নাগপুরে নিয়ে যাওয়ায় হয়। তারপর তরুণীকে যৌনপেশায় নামতে বাধ্য করা হয়। স্থানীয় অপরাধ দমন শাখা ও কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় সেখানে থেকে মুক্তি পায় কিশোরী। এই ঘটনায় রামচন্দ্র লোটানে ও চন্দা মনজিত লোটানে নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর নাগপুরের ব্রহ্মপুরী এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল কিশোরীকে। কলকাতা থেকে নাগপুরে আনা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রপুরে। সেখানে আবার নাগপুরে আনা হয়। তারপর কিশোরীকে ব্রহ্মপুরীতে নিয়ে যাওয়া হয়। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় ব্রহ্মপুরী ও চন্দ্রপুর পিলিশের অপরাধ দমন শাখা। রীতিমত ফাঁদ পেতেই তারা কিশোরীকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করে দম্পতিকে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো ও মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর নাগপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ কিশোরীর সন্ধান পায়। তারপর কলকাতা পুলিশ যোগাযোগ করে মহারাষ্ট্রের পুলিশের সঙ্গে। দীর্ঘদিন ধকে ট্র্যাক করে কলকাতা পুলিশ। তারপর পুরো তথ্য তুলে দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে। তারপর অভিযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে অভিযানে নামে তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত অভিযান সফলও হয়।