সংক্ষিপ্ত

আবেদনকারীর আইনজীবী যোগেশ সিরোদজা বলেছেন, সিভিল বিচারক মনমোহন চন্দেল আজমিরের দরগা কমিটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে এই বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

আজমীরের সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগায় রয়েছে একটি শিব মন্দির। সেই শিব মন্দিরে পুজোর অনুমতি চেয়েছে একটি পক্ষ। দ্বারস্থ হয়েছে রাজস্থানের একটি আদালতে। তারই ভিত্তিতে রাজস্থানের আদালত ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ও কেন্দ্রকে একটি নোটিশ জরি করেছে। যা নিয়ে কাশী বিশ্বনাথে জ্ঞানবাপী মসজিদের মত আইনি জটিলতে তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছে অনেকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর।

আবেদনকারীর আইনজীবী যোগেশ সিরোদজা বলেছেন, সিভিল বিচারক মনমোহন চন্দেল আজমিরের দরগা কমিটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে এই বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। বারাণসী, মথুরা, ধরর, ভোজশালাসহ গোটা দেশেই একধিক মন্দিরের ওপর মুসলিমদের ধর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

ডানপন্থী দল হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত, যিনি আজমীর শরীফ মামলার মূল আবেদনকারী, তিনি বলেছে, 'আমাদের দাবি ছিল আজমীর দারগাকে সংকটমোচন মহাদেবের মন্দির হিসেবে ঘোষণা করা।' পিটিআইকে তিনি আরও বলেছেন, 'দরগায় যদি কোনও ধরনের রেজিস্ট্রেশন থাকে তাহলে তা বাতিল করা উচিৎ। আর্কিওলজিক্যল সার্ভের সমীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশপাশি হিন্দুদের সেখানে উপাসনার অধিকার দিতে হবে।'

এই পিটিশনের ভিত্তি ১৯১১ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হারবিলাস শারদার-এর একটি বইয়ের ওপর ভিত্তি করে দায়ের করা হয়েছে। বইটিতে দাবি করা হয়েছে, বুলন্দ জরওয়াজা-সহ সহ আজমির দরগার চারপাশে হিন্দু খোদাই ও মুর্তি দেখা যেত। হিন্দুদের ধর্মস্থানের অস্তিত্ত্ব রয়েছে। 'আজমির: ঐতিহাসিক এবং বর্ণনামূলক'বইটিতে আরও বলা হয়েছে, একটি শিবমন্দির ধ্বংস করে সেখানেই দরগা নির্মাণ করা হয়েছিল। পিটিশনের আরও অভিযোগ করা হয়েছে। সেটি হল দরগার গর্ভগৃহের মধ্যে একটি জৈন মন্দির রয়েছে।

যদিও দরগা কমিটি এই দাবি অস্বীকার করেছে। অঞ্জুমান সৈয়দ জাগগানের সেক্রেটারি সৈয়দ সারওয়াসার চিশতী বলেন, দরগায় বৈচিত্র ও বহুত্ববাদের মধ্যে ঐক্যের প্রচার করা হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত সারা বিশ্বে দরগাটি জনপ্রিয়। প্রতি বছর লক্ষলক্ষ ভক্ত জাতপাত নির্বিশেষে সেখানে আসেন। তিনি আরও বলেছেন, এজাতীয় কাজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে। আদালত তিন পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে। তিনি আরও বলেছে, কাশী, মথুরার প্রাচীন মসজিদগুলিকে বর্তমানে টার্গেট করা হচ্ছে। এটি ভাল কোনও কাজ নয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।