সংক্ষিপ্ত
অভিযুক্ত নরেশ বেঙরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় নরেশের পরিবার থাকে।
দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া এবার ঝাড়খণ্ড। লিভ-ইন সঙ্গীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে দেহ টুকরো টুকরো করে কুকুরকে খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল 'খুনি' প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন পড়ে গেছে খুঁটি জেলায়।
অভিযুক্ত নরেশ বেঙরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় নরেশের পরিবার থাকে। সম্প্রতি তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কর্মসূত্রে নরেশ থাকত তামিলনাড়ুতে। সেখানেই একটি মাংসের দোকানের কর্মী। তামিলনাড়ুতে থাকার সঙ্গে স্থানীয় এক মহিলার প্রেমে পড়ে নরেশ। তারপর একত্রে থাকতে শুরু করে। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে নিজের গ্রামে ফিরেছিল নরেশ। পরিবারের সদস্যরা নরেশের বিয়ে দিয়ে দেয়। নরেশ স্ত্রীর কাছে গোপন রেখেছিল তার লিভ-ইন সম্পর্কের কথা। কিন্তু ছুটির মেয়াদ ফুরালে নরেশ গ্রাম ছেড়ে তামিলনাডুতে চলে যায়।
তামিলনাডুতে গিয়েই সমস্যা নেমে আসে নরেশের জীবনে। তার লিভ-ইন সঙ্গী বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। কিন্তু রমেশ স্ত্রীর কাছে যেমন গোপন রেখেছিলেন প্রেমের সম্পর্ক, তেমনই প্রেমিকার কাছে বিয়ে গোপন করেছিলেন। যদিও প্রেমিকা নরেশের ওপর বিয়ে করার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত কিছুটা বাধ্য হয়েই নরেশ প্রেমিকাকে নিয়ে আসে ঝাড়খণ্ড।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর প্রেমিকাকে নিয়ে যায় একটি জঙ্গলে। সেখাই শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করে। পুলিশের অনুমান মহিলার দেহের ৫০টি টুকরো করা হয়েছিল। তারপর সেগুলি জঙ্গল ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর নরেশ নিজের গ্রামে ফিরে যায়। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় নরেশের গ্রাম।
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে গত ২৪ নভেম্বর। সেইদিন একটি কুকুরের মুখে কাটা হাত থেকে গ্রামের মানুষ চমকে যায়। তারাই খবর দেয় পুলিশে। তদন্তে নামে পুলিশ। একটি ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার করে মহিলার দেহের কিছু অংশ। তবে কিছু অংশ গায়েব বলেও দাবি পুলিশের।
পুলিশ সুপার জনিয়েছেন, লিভ ইন সঙ্গীকে খুঁটিতে নিয়ে আসেন নরেশ। তার পর তাঁকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে অটোতে করে নিয়ে যান। সেখানে দু’জনে নামেন। তরুণীকে অপেক্ষা করতে বলে নিজের গ্রামে যান নরেশ। ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসেন। তরুণীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যান। পুলিশ জানিয়েছে, নরেশের লিভ ইন সঙ্গী খুঁটি পৌঁছে তাঁর মাকে ফোন করেন। সেটিই ছিল তাঁর শেষ ফোন। জঙ্গল থেকে তরুণীর দেহাংশের পাশেই আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। সেই আধার কার্ড দেখে তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। খবর পেয়ে খুঁটিতে পৌঁছে কন্যার দেহ শনাক্ত করেন তাঁর মা। তার পরই নরেশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নরেশকে। পুলিশের দাবি, জেরায় নরেশ খুনের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।