Active Covid-19 cases in India: 'আবার সে এসেছে ফিরিয়া।' কয়েক বছরের ব্যবধানে ফের দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পিছিয়ে নেই বাংলাও।

Coronavius Cases in India: দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনাভাইরাস (Covid-19) সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা (Coronavius) আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭১০। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে কেরলে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৪৭। ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছোঁয়নি। কেরল অন্য সব রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৪। দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৪। গুজরাটে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২৩। দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্য কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮। পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৬। গত সপ্তাহের শেষে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল, তার চেয়ে চলতি সপ্তাহের শেষে সংখ্যাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare) পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

কেরল থেকে বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ?

যে কোনওদিন সাঁতরাগাছি বা শালিমার স্টেশনে গেলেই দেখা যায় কেরলের ট্রেন থেকে বাংলার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকরা নামছেন অথবা তাঁরা কেরলের ট্রেনে উঠছেন। এই ঘটনা নতুন নয়। এখন কেরলেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে সেখান থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমে বাংলাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। কেরলের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতেও বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করতে যান। সব রাজ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। এই রাজ্যগুলি থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা মূলত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তাঁরা সাঁতরগাছি বা শালিমার স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে বাসে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছে সেখান থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জার বা অন্য কোনও ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরেন। ফলে তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

করোনাভাইরাসে বাড়ছে মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি, গুজরাট, কর্ণাটক, পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ুতে একজন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।