JN.১ ভ্যারিয়েন্টের প্রথম সংক্রমণ ২০২৩ সালে দেখা গিয়েছিল। এর কিছু মিউটেশন রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সাহায্য করে। যদিও এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে এটি পুরানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
Covid 19 JN1 Variant Symptoms Prevention: কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এশিয়ার দেশগুলিতে করোনা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। গত এক বছরে প্রথমবার ভারতে ২৫৭ টি সক্রিয় কোভিড কেস নথিভুক্ত হয়েছে। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম LF.৭ এবং NB.১.৮. যা JN.১ ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। JN.১ ভ্যারিয়েন্টের প্রথম সংক্রমণ ২০২৩ সালের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিল। এর কিছু মিউটেশন রয়েছে যা এটিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সাহায্য করে। যদিও এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে এটি পুরানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কোভিড-১৯ JN.১ এর লক্ষণগুলি কী এবং কীভাবে এটি থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় তা জেনে নেওয়া যাক।
কোভিড-১৯ JN.১ এর লক্ষণ
কোভিড-১৯ JN.১ এর লক্ষণ সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতোই। গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, তিন দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর এবং ক্লান্তি। অনেকের ডায়রিয়া এবং বমি হতে পারে।
কতটা বিপজ্জনক কোভিড-১৯ JN.১
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কোভিড-১৯ JN.১ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই পাওয়া গেছে। এর প্রথম সংক্রমণ ২০২৩ সালের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিল। এই ভ্যারিয়েন্টের ৩০ টি মিউটেশন রয়েছে। যার কারণে এটি মানুষকে দ্রুত সংক্রমিত করে। হংকং, সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের কথা বললে এটি একটি চক্রাকার রোগ। অর্থাৎ এর সংক্রমণ কয়েক মাস অন্তর বৃদ্ধি পাবে। এই সময়কাল ৩-৯ মাস পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের মতো খুব বেশি বিপজ্জনক নয়।
কোভিড-১৯ থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। সময়ে সময়ে হাত ধুয়ে নিন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যাদের সর্দি-কাশির মতো লক্ষণ রয়েছে, তাদের থেকে দূরে থাকুন। জ্বর, কাশি বা গলা ব্যথা হলে বাড়িতে থাকুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
শিশুদের জন্যও সাবধানতা অবলম্বন করুন
- ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জনসমাগমে মাস্ক পরান।
- শিশুদের হাত ধোয়া শেখান।
- গ্রুপ অ্যাক্টিভিটি এবং জনসমাগম থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।
- শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিন এবং হালকা শারীরিক কার্যকলাপ করতে দিন।
- জ্বর, কাশি, সর্দি, বমি বা ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- শিশু অসুস্থ হলে তাকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ ধ্যান দিন।


