সংক্ষিপ্ত

  • ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন 
  • আবেদন জমা পড়েছে ডিসিজিআইতে 
  • ব্রিটেন সূত্রে পাওয়া গেছে খবর 
  • সংশয় রয়েছে কয়েকটি বিষয় 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতেও কি ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে? ব্রিটেন সূত্রে পাওয়া খবর সেই জল্পনাই উস্কে দিয়েছে। কারণ একটি সূত্রে বলছে, আমেরিকান জায়ান্ট ফাইজার তাদের তৈরি করোনার টিকা ভারতে জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদন জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই-এর কাছে আবেদন জমা পড়েছে। মহামারি চলাকালীন এটি প্রথম টিকা যেটি ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে , ডিসিজিআই -এর কাছে। চৌঠা ডিসেম্বর আবেদন পত্র জমা পড়েছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।   চলতি সপ্তাহ থেকে ফাইজারের টিকা জরুরি অনুমোদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনে। 


বুধবার থেকে ফাইজারের টিকা ব্রিটনে ব্যবহার শুরু হতে পারে। ব্রিটেন, পাশ্চ্যাতের প্রথম দেশ যেখানে এই টিকা ব্যবহার করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মান বায়োএনটেকনোলডির যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিষেধকটি তৈরি হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরীক্ষার পর সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। নিজেদের দাবি থেকে একচুলও সরছে না কৃষকরা, পঞ্চম দফার বৈঠকে 'মৌনব্রত' আন্দোলনকারীদের ...

পরপর ১০টি ' আকাশ' মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ, চিনা বিমান হানা রুখতে মোতায়েন হবে লাদাখে ...

ভারতের এখনও পর্যন্ত কোনও টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বেশ কয়েকটি টিকার ট্রায়াল রান চলছে। তবে ফাইজার ও তার সহযোগী সংস্থাগুলি কখনও ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়েনের অনুমতি চায়নি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন একটি টিকার গুণগত মান নির্ধারণ করা তখনই সম্ভব যখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ায়ের মাধ্যমে তার পরীক্ষা রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। ফাইজারের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল না হওয়ায় তার গুণগত মান নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। 

যদিও ব্রিটেন ফাইজার টিকা জরুরি অনুমোদনের অনুমতি দেওয়ায় তাদের ঐতিহাসিক মূহুর্ত বলে চিহ্নিত করেছিলেন সংস্থার প্রধান। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতেও করোনা টিকা উপলব্দ করার জন্য তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তিনটি করোনাভাইরাসের টিকা চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। আর সেই প্রতিষেধকগুলি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন। ভারতের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি বিশ্বের একাধিক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কারজ করছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই ফাইজারের টিকায় অনুমোদন কিছু প্রশ্ন উঠতেই পারে।