সংক্ষিপ্ত

মোবাইলফোনে পর্নো আর আশালীন ভিডিও দেখে হঠাৎ উত্তেজিত হয়। প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে। বর্তমানে হোমে রয়েছে ১৭ বছরে অভিযুক্ত।

মোবাইল ফোনে অশালীন ভিডিও দেখে মাত্র ১০ বছরের নাবলিকাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠল মাত্র ১৭ বছরের একটি নাবালকের বিরুদ্ধে। নির্মম এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বেমেটারা এলাকায অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে নির্যাতিতার নিথর দেহ।

পুলিশ দানিয়েছেন, বেমেটারা এলাকা ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে। বেমেটারার বাসিন্দা নির্যাতিতা আর অভিযুক্ত- দুজনেই। তাদের প্রতিবেশী বলা যেতে পারে। তবে দুই পরিবারের মধ্যে কোনও শত্রুতা ছিল না। শনিবার বাড়ির মধ্যে থেকেই ১০ বছরের মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপরই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিক অম্বর সং ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে নাবালিকাকে যৌন হয়রানি করে তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। তদন্তের প্রথমেই সামনে আসে ১৭ বছরের ছেলেটির কথা। কারণ তার বাড়িতেই শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল নাবালিকাকে।

পুলিশ জেরা শুরু করে। তাতেই নাবালক ভেঙে পড়ে। জানায়, সেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারপর হত্যা করেছে। সবশেষে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। অভিযুক্ত আরও জানিয়েছে, নিজের বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে অশালীন ভিডিও দেখছিল। সেই সময় একটি নীল ছবি দেখে উত্তেজিত ছিল। এমন সময় কিশোরীর বাড়িতে যায়। তার ঘরে প্রবেশ করে। সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তারপর নির্যাতিতা বাড়িতে সবকিছু বলে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাতেই রেগে গিয়ে সে তখনই মেয়েটিকে হত্যা করেছে বলে জেরায় জানিয়েছে। মেয়েটির দেহ ওড়নার সঙ্গে বেঁধে দিয়ে তারপর ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণ, খুন, অপরাধের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। এছাড়াও শিশু সুরক্ষা আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে তাতে দুর্গ জেলার একটি হোমে পাঠান হয়।

তবে এই ঘটনায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজকর্মীরা। তাঁদের কথায় ছেলে-মেয়েদের বড় করার জন্য আরও বেশি করে সচেতন হওয়া জরুরি। তারা ফোনে কি কি দেখছে সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। শিশুর সঙ্গে কথা বলে তার মন বোঝার চেষ্টা করা উচিৎ বাবা ও মায়ের। তাহলেই জাতীয় অপরাধ থেকে অনকটা রক্ষা করা যাবে ছেলে ও মেয়েদের। তবে এই বিষয়ে এখন থেকে সচেতনা চালন জরুরু।