সংক্ষিপ্ত
বাড়ি ফেরার পথে বাইক ট্যাক্সি চালকের হাতে নির্যাতিতা বেঙ্গালুরুর তরুণী। গ্রেফতার দুই। লাগাতার ধর্ষণের কারণে অসুস্থ তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
বেঙ্গালুরুতে নিরাপদ নয় মেয়েরা! সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত এই শহর। এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কাজ করতে যায় তরুণ তরুণীরা। কিন্তু সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় বেঙ্গালুরুতেও নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ রাতের বেঙ্গালুরুতে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত শুক্রবার তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ২২ বছরের মহিলার বাড়িতে কেরলে। কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তাঁর বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। মধ্যে রাতে ফেরার সময় একটি বাইক ট্যাক্সি বুক করেন। ফেরার সময় বাইক ট্যাক্সির চালক ও তার বন্ধু দুজনে মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ করে। মহিলা আরও জানিয়েছেন, চালক তাকে প্রথম গন্তব্যে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নামায়নি। তারপর নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই বাইক ট্যাক্সির চালক তার বন্ধুকে ডেকে নেয়। তারপর চালকের বাড়িতে দুই বন্ধু পালাক্রমে মহিলাকে গণধর্ষণ করে। এই বাড়িতে এক মহিলা আগে থেকে উপস্থিত ছিল বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই বাইক ট্যাক্সি বুক করা হয়েছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে বাইক ট্যাক্সি চালকের বাড়িতে থাকা অন্য মহিলাও অপরাধীদের সাহায্য করেছে। কারণ সেই মহিলাও নির্যাতিতা মহিলাকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টা করেনি।
পুলিশ আরও জানিয়েছেন, লাগাতার ধর্ষণের কারণে নির্যাতিতা টানা পাঁচ দিন বেঁহুশ ছিলেন। জ্ঞান ফেরার পরে নিজেই স্থানীয় হাসপাতালে যান। তখন তিনি রীতিমত অসুস্থ ছিলেন। যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরাই ধর্ষণের বিষয় পুলিশকে অবগত করে। বেঙ্গালুরু ইলেক্ট্রনিক সিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হবে। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য মহিলার খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।
বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে সবদিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে অ্যাপ নির্ভর রাইডের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হবে। অ্যাপের মালিকদের ডেকে পাঠান হবে। উভয় অভিযুক্তের কী ভূমিকা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই জাতীয় ঘটনার বিরুদ্ধে কর্নাটক পুলিশ সর্বদাই কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।