সংক্ষিপ্ত
এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বিমান সংস্থা ভিস্তারা। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই আইনিভাবে কাগজে কলমে সম্পন্ন হবে এই একত্রীকরণ।
এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বিমান সংস্থা ভিস্তারা। মঙ্গলবার এ বিষয়ে টাটা গ্রূপের সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এক বৈঠকে দুই কোম্পনির কর্ণধারই সম্মতি দেন এই প্রস্তাবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই আইনিভাবে কাগজে কলমে সম্পন্ন হবে এই একত্রীকরণ। তারপর থেকেই শুরু হবে অপারেশন।ভিস্তারা এভিয়েশন মার্কেটে একটি নতুন নাম হলেও তাদের অপারেশন শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। উড়ান বাণিজ্যে আনকোরা হলেও তাদের ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত ভালো হওয়ায় সেই দক্ষতা নিয়েই এতদিন বাজারে টিকে ছিল ভিস্তারা। অবশেষে সেই হাত আরও শক্ত করতেই এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন 'ভিস্তারা' কর্তৃপক্ষ।
পরিকাঠামো ও সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং খরচ কমানোর পাশাপাশি টাটাদের মালিকানাধীন দুই সংস্থা মিশে গেলে উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রেও সুফল মিলতে পারে বলে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন। পরিকল্পনা কার্যকর হলে দেশের এক নম্বর উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোকেও টেক্কা দিতে পারবে টাটা- সিঙ্গাপুর জোট। চলতি মাসেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানিয়েছিল, টাটা এবং এসআইএ-র মধ্যে আলোচনা চলছে। টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভিস্তারা যা প্রধানত অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি বিমান পরিষেবার কাজ করে।
একত্রীকরণের পর এসআইএ-র হাতে ২৫.১ শতাংশ শেয়ার (আনুমানিক মূল্য ৫ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা) থাকবে বলে টাটা সন্স এবং এসআইএ জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ হাতে পেয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের জন্য টাটা সন্সের জমা দেওয়া ১৮ হাজার কোটি টাকার দরপত্রটি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘বিলগ্নিকরণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ দফতর’ অনুমোদন করায় ৬৮ বছর পরে ফের এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা ফায়ার পেয়েছিল টাটারা। এর পরেই শুরু হয় এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারাকে মিশিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ন’দশক আগে টাটা গোষ্ঠীরই হাত ধরে শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম উড়ান সংস্থা। দেশের প্রথম পাইলট জে আর ডি টাটা প্রতিষ্ঠিত সেই টাটা এয়ারলাইন্সের নাম বদলে ১৯৪৬ সালে এয়ার ইন্ডিয়া (এআই) নাম রাখেন । স্বাধীনতার পরে তার মালিকানা চলে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এর পর ২০১৪ সালে দেশের উড়ান পরিষেবায় বিদেশি লগ্নির পথ চওড়া করে দিয়েছিল কেন্দ্র। সে বছর জুনে মালয়েশিয়ার ধনকুবের টনি ফার্নান্ডেজের এয়ারএশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের আকাশে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া-র পরিষেবা শুরু করে টাটা। পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে যৌথ ভাবে চালু করে বিমান পরিষেবা সংস্থা ‘ভিস্তারা’।